যৌথ মালিকানায় হোটেল নির্মাণের কথা বলে অংশীদারদের টাকা হাতিয়ে নেয়া ও প্রাঁণনাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগে হোটেল কুয়াকাটা প্যালেসের মালিক লোকমান হোসেনকে গ্রেপ্তার করেন এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। শুক্রবার হোটেল কুয়াকাটা প্যালেস থেকে লোকমানকে গ্রেপ্তার করে এয়ারপোর্ট থানার উপ-পুলিশ পরিদদর্শক (এস আই) ইয়াসিন।
এবেং মামলার অপর আসামি মোঃ সবুর হোসেন পলাতক রয়েছে। তিনি বরিশাল নতুন বাজার এলাকার মৃত মোবারক আলি হাওলাদারের ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে- জাহাঙ্গীর, লোকমান ও সবুর ১/০৪/১৮ তারিখ সকাল ১০টায় বরিশাল এয়ারপোর্ট থানাধীন মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নিজ বাসায় একত্রিত হয়ে ব্যবসার উদ্দেশ্যে হোটেল কুয়াকাটা প্যালেস নামে একটি আবাসিক হোটেল তৈরির জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। যার নির্মান ব্যয় ধার্য করা হয় সর্বমোট ৭৫ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে মামলার বাদী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ব্যয় করবেন ২৫ লক্ষ টাকা, এবং মামলার ২য় আসামি সবুর হোসেন ব্যয় করবেন সর্বমোট ৫০ লক্ষ টাকা।
মামলার প্রধান আসামি লোকমান হোসেন উক্ত হোটেল নির্মাণ করা জমির মালিক হওয়ায় হোটেলের আয়ের ৬০% লোকমান হোসেন ২৬% টাকা সবুর হোসেন এবং বাকি ১৪% জাহাঙ্গীর হোসেনের হবে বলে তারা চুক্তিবদ্ধ হন। হোটেলের নির্মাণ করার সময় সর্বমোট ২৮ লক্ষ ষাট হাজার টাকা জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছ থেকে বুঝে নেন লোকমান হোসেন ও সবুর হোসেন।
এই ব্যাপারে কলাপাড়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে বৈধ যৌথ ব্যবসায়িক চুক্তিপত্র সম্পন্ন হয় ১২/০৪/১৮ তারিখ বেলা ১১ টার সময়। কিন্তু হোটেল নির্মাণ করতে চুক্তির চেয়ে অধিক টাকা ব্যয় হওয়ায় জমির মালিক লোকমান হোসেন ও ২য় আসামি সবুর হোসেন মোঃজাহাজাহাঙ্গীর আলমের কাছে আরও ২০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। এবং তখন তাদের মধ্যে মৌখিকও লিখিত ভাবে চুক্তি হয় যে জমির মালিক লোকমান হোসেন পাবেন মোট আয়ের ৪৮% এবং বাকি ৫২% আয় জাহাঙ্গীর হোসেন ও সবুর হোসেন সমান ভাগে ভাগ করে নেবেন।এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেই হোটেলের বাকি কাজ সম্পন্ন করা হবে।তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বিদ্যমান থাকায় চুক্তিপত্র লোকমান হোসেন এর কাছে রাখা হয় এবং বাকি ১১ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা পরিশোধের মাধ্যমে হোটেলের নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়।
এ ব্যাপারে মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন- তার কাছ থেকে লোকমান হোসেন হোটেল তৈরির জন্য চেকের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৩৯লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা নিয়েছেন। হোটেলের নির্মাণ কাজ শেষে তিনি (জাহাঙ্গীর) তার প্রাপ্য আয়ের অংশ আনতে তাদের নির্মিত হোটেলে গেলে লোকমান চুক্তিপত্র গোপন করিয়া তাকে তার প্রাপ্য বুঝিয়ে না দিয়ে তাকে দিয়ে জোরপূর্বক স্টাপে সই করানোসহ তাকে হত্যা করার হুমকি প্রদাণ করেন। নিজের প্রাপ্য হক আদায়ের জন্য তিনি ৪০৬/৪১৭/৪২০/৩৮৪/৩৪২/৫০৬(০২)পেনাল কোড-১৮৬০, বিশ্বাস ভঙ্গ করতঃপ্রতারনামুলক টাকা আত্মসাৎ করা সহ অন্যায় আটক করিয়া স্বাক্ষর গ্রহণ ও খুন ও জখমের মামলা দায়ের করেন। সাথে সাথে প্রতারনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপ-পুলিশ পরিদদর্শক (এস আই) মোঃ ইয়াছিন খাঁন বলেন- লোকমান হোসেনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।