স্টাফ রিপোর্টার//তানজিম হোসাইন রাকিব:
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে কোচিং বানিজ্য বন্ধে নীতিমালা ২০১২ জারি করলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এখনো বাস্তবায়ন হয়নি গেজেট ২০১৯। প্রকাশ্যে প্রতিষ্ঠানের শ্রেণী কক্ষেই অতিরিক্ত ক্লাসের নামে কৌশলে এ বাণিজ্য করা হচ্ছে। গোপন সূত্রে জানাগেছে মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রতি বিষয় তিনশত টাকার বদলে নেয়া হচ্ছে ৪-৫ শত টাকা।
অতিরিক্ত ক্লাসের নামে বরিশালের পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে এই কোচিং/প্রাইভেট বাণিজ্য। এ কারণে ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার খরচ চালাতে গিয়ে অভিভাবকগণ হিমশিম খাচ্ছেন। এতে উপেক্ষিত হচ্ছে সরকারের নীতিমালা। শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজ ও পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন স্কুল কক্ষে কোচিং করানো হচ্ছে। এছাড়াও পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে কোচিং করাচ্ছেন শিক্ষকরা। শিক্ষা মন্ত্রীর বার বার কড়া হুশিয়ারী আর কোচিং বানিজ্য বন্ধের কঠোর নির্দেশ ও সরকারী সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা করে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার গুলো তাদের এই প্রাইভেট ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে হরদমে।
কিন্তু বর্তমানে এর সাথে যুক্ত হয়েছে পূর্বাঞ্চলের নামিদামী স্কুল ও কলেজ গুলো শিক্ষকরা। অনেক বিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক ভাবে কোচিং ক্লাসের নামে ব্যবসার ফাঁদ পেতেছেন। আর যে সকল স্টুডেন্টস এই কোচিং এ ভর্তি হচ্ছে না তাদের উপর বিভিন্ন কায়দায় নেমে আসছে শাস্তি আর অপমানের খগড়। ইচ্ছাকৃত ভাবে পরীক্ষায় কম নম্বর প্রদান, অহেতুক বকাঝকা, এমনকি শারীরিক শাস্তি পর্যন্ত প্রদান করা হচ্ছে। শুধুমাত্র এই সব অবৈধ কোচিং না করার কারনে। এখনই সময় এ ধরনের অন্যায় এবং অবৈধ কোচিং বন্ধের। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে সুশিল সমাজ।
অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, অধিকাংশ সময় শিক্ষকগণ তাদের রুটিন ক্লাশের সময় গল্পগুজবে মশগুল থাকেন। এতে করে মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। দেখা যাচ্ছে নির্ভর হয়ে পড়ছে কোচিংয়ের উপর এবং আগ্রহ হারাচ্ছে ক্লাসের উপস্থিত থাকায়। অভিভাবকরা জানায়, ভালোমন্দের বিচার না করে ঢালাও ভাবে ক্লাসের সব শিক্ষার্থীকে কোচিং করতে বাধ্য করা হচ্ছে অনেক স্কুলে।
এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো, যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন যৌথ কমিটির মাধ্যমে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে অভিযান চালানো হবে। কোচিং/প্রাইভেট বানিজ্য বন্ধের জন্য শিক্ষার্থী অভিভাবকরা দুদকসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।