স্টাফ রিপোর্টার//তানজিম হোসাইন রাকিব:
বরিশালে আবাসিক গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা না থাকায় এলপিজি ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত ৪ বছরে বরিশালে এলপিজি সিলিন্ডারের ব্যবহার ৫ গুন বেড়েছে। আর চাহিদা বাড়ায় বাজারজাতকারী কোম্পানীগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতাও বেড়েছে। ফলে যেখানে সেখানে অবৈধভাবে দোকান বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়াই এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা করে যাচ্ছে।
বর্তমানে বরিশালের সদর রোড, বটতলা, নতুল্লাবাদ, কাশিপুর,ভাটিখানা, নতুন বাজারসহ প্রতিটি ওলী গলিতে বেড়ে এসা অবৈধ এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা। মাঝে মাঝে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অভিযান পরিচালনা করা হলেও প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না।
সাংবাদিকদের এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার মজুদের তথ্য। নগরীর ২১ নং ওয়ার্ড অক্রফোর্ড মিশন রোডের শুকরিয়া নামক বাড়ির নীচে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের মজুদ করেছে বটতলা বাজরের মুদি দোকান আলম স্টোরের মালিক নজরুল ইসলাম। বাসায় বসেই নজরুল ইসলামের স্ত্রী এই ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ন আবাসিক কলোনীতে কি করে এমন ভয়াবহ অবৈধ এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার এর মজুদ হয় তা নিয়ে শঙ্কিত এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম বলেন, আমি বাসায় খালি সিলিন্ডার মজুদ রাখি।আমার বৈধ লাইসেন্স আছে। কিন্তুকোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি। আবাসিক এলাকার নিরাপত্তা এবং তার স্ত্রীর অবৈধ এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসার কথা বললে তিনি এ ব্যাপারে কোন সদোত্তর দিতে পারেন নি। যেখানে সেখানে অবৈধভাবে মজুদ করে ওই ঝুকিপুর্ণ সিলিন্ডার বেচাকেনা করে যাচ্ছে। বেশিরভাগ দোকানি বিস্ফোরক পরিদপ্তর লাইসেন্স ছাড়াই এলপিজির ব্যবসা করছে। ওসব দোকানির অনেকেরই গ্যাস সিলিন্ডার কেনাবেচার অনুমোদন তো দুরের কথা, ট্রেড লাইসেন্সই নাই।
এসব কোন নেই আগুন নির্বাপক যন্ত্র। বড় কোন দূর্ঘটনা ঘটলে প্রতিকারেরও কোন ব্যবস্থা নেই।