উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও বিশবিদ্যালয় শিক্ষকসহ জ্ঞানীজনেরা কিভাবে কোটা আন্দোলনকে সমর্থন করেন প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাষ্ট্রবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও তাদের অনুসারীরা যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে না আসতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ভিডিও কনফারেন্সে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভাতা ও সম্মানী বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করে তিনি বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।
একটি মানুষও যেন অবহেলিত না থাকে সেই লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবে ৬৬ লাখের বেশি মানুষকে যুক্ত করা হয়েছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীতে। বিভিন্ন শ্রেণীর এই মানুষের হাতে প্রতি মাসে ভাতার অর্থ সরাসরি ও সহজে পৌছে দিতে চালু হলো ইলেক্ট্রনিক ভাতা বিতরণ কার্যক্রম। গভর্নমেন্ট টু পারসন বা ‘জিটুপি’র আওতায় ১ লাখ ১৫ হাজার বয়স্ক, বিধবা ও নির্যাতিত নারীর কাছে ভাতা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে কর্মসূচীটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবন থেকে চার জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কার্যক্রমের উদ্বোধন করে তিনি বলেন, ক্ষমতায় এসে অসহায় মানুষের ভাতা থেকেও কমিশন নিয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।
চার জেলার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ভিন্ন একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছেও তাদের সম্মানী পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। কক্সবাজার জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ভাতার অর্থ ছাড় করার মাধ্যমে কার্যক্রম উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা, নারী ও সংখ্যালঘু কোটাবিরোধীদের সমালোচনা করেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের আপিল বিভাগের রায়ের কথাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় কক্সবাজারের স্থানীয়দের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থানীয়দের যেন কষ্ট না হয় সেটা দেখার দায়িত্ব তার।