স্টাফ রিপোর্টার// শাওন অরন্য:
রমজান মাস ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে থাকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে। মানে প্রতিটা সেক্টর ওৎ পেতে থাকে বছরের এই ১ মাসের জন্য। সৌদিআরবে ব্যাবসায়ীরা ১১ মাস ব্যাবসা করে, রমজানের ১ মাস সেবা করে। আর বাংলাদেশের ব্যাবসায়ীরা ১১ মাস পন্যের দাম বেশি রাখে রমজানের ১ মাস গলাকাটা দাম রাখে।
প্রথম ১০দিনঃ যদিও আগেই মজুদ রেখে একচেটিয়া ব্যাবসার জন্য বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেয় এবং ক্রাইসিস তৈরি করে। আর রোজা শুরু হলে দাম লাগামহীন হবেই! বিভিন্ন ব্রান্ডে/কোম্পানি তে অফারের ছড়াছড়ি। নতুন পোসাকের সাথে বিগত বছরের পোসাক বিক্রিতে সয়লাভ।
দ্বিতীয় ১০দিনঃ মধ্যম এই সময়টাতে মানুষ অস্থিরতার সাথে মানিয়ে যায়। কেউ কেউ আগাম শপিং শুরু করে। একটা সংঘবদ্ধ চক্র ধর্মকে ব্যাবহার করে রাজধানী, মসজিদ, লঞ্চ টার্মিনাল, বাসস্ট্যান্ড সহ জনবহুল স্পটে ভিক্ষাবৃত্তি সাহায্যর নামে ফায়দা লুটে।
শেষ ১০দিনঃ গনমানুষের বাড়ি ফেরাকে পুঁজি করে পরিবহন সেক্টরে চলে যাত্রী জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। পথে পথে পরিবহনে চাঁদা আদায়। এ ছাড়াও এই চাঁদা সেই চাঁদা তো আছেই। টিকিট বিক্রি শুরু হলে তা কয়েক ঘন্টায় লাপাত্তা! সড়কে অসংখ্য প্রানহানি প্রতি ঈদে নিয়মিত রুটিন। এছাড়াও জ্যাম, খাদ্যপন্যে ভেঁজাল তো আছেই। বেগুনিতে বেগুন নেই থাকে পেপে। পিঁয়াজু তে মুলা, শরবতে রং, ফলে ফরমালিন। পায়ে মাড়িয়ে সেমাই তৈরি, জাল টাকা বিস্তার, নকল মোবাইল ফোন এই সময়ে বেশি ছড়ায়। আর ফুটপাত থাকে হকার দের দখলে।
নেতাদের ইফতার বিতরন বা যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে থাকে। টিভি জুড়ে বিজ্ঞাপন এর এতোই আধিক্য যে ১৭ ইন্চি স্ক্রিনের ৭ ইন্চিও ফাঁকা থাকেনা। অনুষ্ঠানের বিরতি তে বিজ্ঞাপন নয়, বিজ্ঞাপনের ফাঁকে অনুষ্ঠান দেখায়। যতো যা ই ঘটুক আর রটুক রোজার ঈদ বছরে একবারি আসে,তাই সবার জন্য শুভ কামনা পবিত্র ঈদুল ফিতর যেন এবার সবার জন্য হয় সুখময়।