27 C
Dhaka
জুলাই ১১, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
প্রচ্ছদ বরিশাল রাজণীতি

হোল্ডিং ট্যাক্স পর্যালোচনায় বিসিসি মেয়রের বাড়ি মাপজোখ

স্টাফ রিপোর্টার//তানজিম হোসাইন রাকিব:

হোল্ডিং ট্যাক্স পুনঃপর্যালোচনার জন্য খোদ বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসস্থান মাপজোখ করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) দুপুরে বিসিসির কর ধার্য শাখার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নগরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ি রোডের ৫০৫ নম্বর হোল্ডিংয়ের বাড়িটি নতুন করে মাপজোখ করা হয়। এর আগে মাপজোখ করার জন্য মালিকপক্ষকে লিখিত নোটিশ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

মাপজোখের সময় বিসিসি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহায়তায় বাড়ির মালিক পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল, ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী নঈমুল হোসেন লিটু।

মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বর্তমানে যে বাড়িটিতে বসবাস করেন সেই বাড়িটির হোল্ডিং ট্যাক্স তার দাদা আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের নামে রয়েছে জানিয়ে বিসিসির কর নির্ধারক বেলায়েত হোসেন বাবলু বাংলানিউজকে জানান, মেয়রের আবেদনের প্রেক্ষিতে হোল্ডিং ট্যাক্স বিষয়ক মাপজোখ ও তথ্যাদি পুনঃপর্যালোচনা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে নগরে নতুন স্থাপনা এবং স্থাপনা পরিবর্তন যেমন তিন থেকে চার তলা) অথবা টিনের ঘর থেকে ভবন হয়েছে এমন সব ভবনে পুনঃপর্যালোচনার কাজটি করছি। পাশাপাশি বিগত দিনের মাপজোখে কারও আপত্তি থাকলে তাও দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ করপোরেশনের দায়িত্ব নেওয়ার আগেই সিটি করপোরেশন দেউলিয়া প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। তবে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর দেউলিয়া হওয়ার কারণ খুজতে গিয়ে নানা অনিয়ম পান। এর মধ্যে হোল্ডিং ট্যাক্সের বিষয়টি অন্যতম।

তিনি বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্সের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় যাদের বছরে এক লাখ টাকা ট্যাক্স দেওয়ার কথা তারা দিচ্ছে মাত্র ১০ হাজার টাকা। আবার যারা সমাজের বিত্তবান তারা নাম মাত্র ট্যাক্স দিচ্ছি। যাদের তদবিরের ক্ষমতা নেই অর্থাৎ সাধারণ মানুষ তারা ট্যাক্স দিচ্ছে ক্ষমতাবানদের থেকে অনেক বেশি। এটি সামনে আসার পর থেকে মেয়র ট্যাক্সের বিষয়ে বৈষম্য দূর করে সমতা আনার কাজে হাত দেন। প্রথম পর্যায়ে যারা নতুন স্থাপনা নির্মাণ করছে বা স্থাপনা পরিবর্তন করে কর ফাঁকি দিচ্ছে তাদের ট্যাক্সের আওতায় আনার কার্যক্রম চলছে। তবে নগরে নতুন করে কারো ট্যাক্স বাড়ানো হয়নি। ২০১৬ সালের পরিষদের অনুমোদন দেওয়া নির্ধারিত ট্যাক্সের রেট অনুসারেই কার্যক্রম চলছে। এরমধ্য দিয়েই সিটি করপোরেশনের আয়-ব্যয়ের ব্যবধান ঘোচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পুনঃপর্যালোচনার মাধ্যমে মেয়র যে বাড়িতে বসবাস করেন তার পুরোটারই (নতুন-পুরাতন স্থাপনাসহ) নতুন করে মাপজোখ নেওয়া হয়েছে।  পাশাপাশি বাড়িটি বাণিজ্যিক নাকি আবাসিক সেটি খতিয়ে দেখা হয়েছে।

এদিকে মেয়রের বাড়ি পুনঃপর্যালোচনার মধ্য দিয়ে ট্যাক্সে চলমান বৈষম্য দূর করে সমতা আনার কার্যক্রম আরও বেগবান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ।

বিসিসি সূত্রে জানা যায়, বরিশাল নগরের ৩০টি ওয়ার্ডে ব্যক্তি মালিকানা ৫১ হাজার ৮৯২টি হোল্ডিং রয়েছে এবং ৫৭০টি সরকারি হোল্ডিং রয়েছে। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৫ হাজার ৪০০ হোল্ডিং নম্বরে নতুন স্থাপনা পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে সিটি করপোরেশন। যাদের হোল্ডিং ট্যাক্স নতুন করে পুনঃপর্যালোচনা করে নির্ধারণ করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

বরিশালে যুবলীগ কর্মীর তাণ্ডব: মা-মেয়েকে কুপিয়ে জখম

banglarmukh official

সাতলায় বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতা মিজানকে অর্থের বিনিময়ে দলীয় সনদপত্র প্রদান করার অভিযোগ

banglarmukh official

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official