মে ৬, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
প্রচ্ছদ বরিশাল রাজণীতি

বিসিসি মেয়রের চ্যালেঞ্জ; নগরীর বাকে বাকে উন্নয়নের ছোয়া

তানজিম হোসাইন রাকিবঃ

“আমরাই গড়বো আগামীর বরিশাল” এই স্লোগানকে সামনে রেখে বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগ এর সাধারন সম্পাদক এবং বরিশাল সিটি কর্পোরেশন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ,র নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বরিশাল নগরীর উন্নয়ন কর্মকান্ড।নগরীর অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পুর্ন করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন হাসানাত পুত্র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে করোনা মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ সাধারন জনগনের সকল ভোগান্তিতে পাশে থেকে সর্বমহলে প্রশংসিত সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।বঙ্গবন্ধু পরিবারের সন্তান বলেই হয়তো, সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বরিশালের মেয়র নির্বাচিত হয়ে এরই মধ্যে সিটির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে হতদরিদ্র ও সাধারণ মানুষের কথা ব্যাপকভাবে ভাবছেন এবং নিজস্ব ও বিসিসির পরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে জনগণের অন্তরের স্থায়ী আপনজন হয়ে ওঠার জন্য প্রাণপন কাজ করছেন।

২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচন করার সুযোগ পান তিনি। অনেকটা আসলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন- এর মতো। তিনি বাজিমাত করে দিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হলেন সিটি মেয়র। যদিও নিজেকে তিনি নগর পিতা নয় একজন সেবক হিসেবেই ভাবতে পছন্দ করেন। মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ আজ নগরীর সর্বোচ্চ মসনদে আসীন হলেও তিনি সবসময় থাকতে চান জনতার কাতারে। জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে নির্বাচিত হবার পরপরই নগরীর রূপাতলী থেকে জেল খানার মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি আধুনিক উপায়ে পাঁচ বছরের গ্যারান্টিতে সংস্কার করেছেন। একই কায়দায় সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছে আমতলা মোড় থেকে লঞ্চঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি।

সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে সাদিক আবদুল্লাহ যেমন সেখানে শুদ্ধি অভিযান চালিয়েছেন আবার তার কর্মকর্তা- কর্মচারীদের জন্য হয়েছেন মানবিকও। নগরবাসীর সেবাদানে ঢেলে সাজিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনকে। তাঁর ব্যক্তিগত কর্মতৎপরতায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বেতন বাড়িয়েছেন। নগরীর আমির কুটিরে তাদের বসবাসের জন্য করেছেন ছয়তলা সেবক কলোনী। যেখানে বাস্তুহারা হরিজন সম্প্রদায়ের ৪৮ পরিবার পেয়েছে মাথা গোঁজার ঠাঁই। অনিয়মিত সকল কর্মচারীর জন্য চালু করেছেন বোনাস। মাসের প্রথম সপ্তাহেই পরিশোধ করা হচ্ছে বেতন।

চাকরি শেষে অবসরে যাওয়ার পর যাবতীয় সকল সুবিধা পাওয়ার স্বপ্ন কেউ কখনো দেখেননি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে। কিন্তু সাদিক আবদুল্লাহ যোগদানের পরপরই অবসরে যাওয়া সিটি কর্পোরেশনের ৪৬ জন স্টাফকে একসাথে তাদের সকল পাওনা পরিশোধ করে দিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন। নগরীর জ্যেষ্ঠ বাসিন্দা এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের জন্য নগরভবনে একটি সহায়তা ডেস্ক চালু করেছেন প্রথমবারের মতো।

করোনা মহামারীতে লক্ষাধিক পরিবারের ঘরে ত্রান দিয়ে অন্যন্য নজির গড়েছিলেন তিনি।

মেয়র ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়িকে মোটেও পছন্দ করেননা। প্রধানমন্ত্রীর স্লোগান ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ কথাটিকে মর্ম বাণী হিসেবে মানেন মেয়র সাদিক। তিনি ইমামদের জন্য ইমাম ভবন নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। আবার মহানগরীর পূজা মন্ডপগুলোতেও অনুদানের অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। শিশু মনের মানুষ সাদিক আবদুল্লাহ শিশুদের ভীষণ পছন্দ করেন। শিশু বান্ধব নগরী গড়ার কাজ করছেন তিনি। উৎসবের সময় নতুন পোশাক নিয়ে ছুটে যান এতিমখানাসহ দু:স্থ শিশু নিবাস কেন্দ্র গুলোতে। শিশুদের জন্য একটি পার্ক সংস্কারের পাশাপাশি নগরীতে গড়ে তুলেছেন আরেকটি শিশু পার্ক। ঘোষণা দিয়েছেন নগরীর পাড়া মহল্লায় মিনি পার্ক নির্মাণের।

মিডিয়া বান্ধব সাদিক আবদুল্লাহ গণমাধ্যম কর্মীদের মূল্যায়ন করেন মান সম্মানের সাথে। তিনি মনে করেন রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকরা একে অন্যের পরিপূরক। কারণ সাংবাদিকেরা লেখনীর মাধ্যমে জনগণের ভালমন্দ তুলে ধরেন আর রাজনীতিবিদরা জনকল্যাণের জন্য রাজনীতি করেন।

মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষার্থে ত্রিশ গোডাউন এলাকার বধ্যভূমি সংরক্ষণ করেছেন। এমনকি আধুনিক বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে জায়গাটিকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। মেয়র হওয়ার আগেই নগরী থেকে মদ, জুয়া, হাউজিসহ সামাজিক অপকর্ম উৎখাত করতে সক্ষম হওয়া সাদিক মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে বলেছেন, কোন মাদক কারবারীকে ছাড় দেয়া হবেনা। সর্বশেষ একনেকের সভায় বরিশালে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট উন্নয়নে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বরিশাল নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ড কালিজিরা বাজার থেকে বাজার থেকে ২৭ নং ওয়ার্ড সোনা মেয়ার পোল পর্যন্ত বিটুমিনার কার্পেটিং দ্বারা রাস্তা সংস্কারের মাধ্যমে হাজারো মানুষের দূর্দশার ইতি টানলেন মেয়র সাদিক। মশা নিধন, খাল পুনঃখনন ও পরিষ্কার কার্যক্রম, করোনা মোকাবিলায় রাস্তায় জীবানুনাশক স্প্রে সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে বরিশালবাসীর হৃদয়ের মনিকোঠায় বসেছেন মেয়র সাদিক।

আগামীর বরিশাল গড়ার প্রত্যয়ে উন্নয়নের চাকা চলমান থাকুক এই প্রত্যাশায় নগরীর সুশীল সমাজ।

সম্পর্কিত পোস্ট

সাতলায় বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতা মিজানকে অর্থের বিনিময়ে দলীয় সনদপত্র প্রদান করার অভিযোগ

banglarmukh official

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায়

banglarmukh official