মাওয়া প্রান্তে ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারে আরেকটি স্প্যান বসতে যাচ্ছে এ মাসেই।
এবার জাজিরা প্রান্তের স্থলভাগে (ভায়াডাক্ট) দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতু। ৩৮ মিটার দৈর্ঘ্যের রেলওয়ে স্প্যান বসানোর মাধ্যমে শুক্রবার (১৭ মে) ভায়াডাক্টে পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হয়।
গত ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২৭ দিনের মাথায় শুক্রবার জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্টের ২০ ও ২১ নম্বর পিয়ারে জে-৩ স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়। এই স্প্যানে মোট ৬টি আই-গার্ডার রয়েছে।
পদ্মাসেতু প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রকৌশলীরা জানান, মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ৭ টি করে এমন মোট ১৪টি স্প্যান বসবে। যার মধ্যে থাকবে ৮৪টি আই- গার্ডার। প্রথম স্প্যানটি বসানোর জন্য একটু বেশি সময় লাগলেও পরবর্তী স্প্যানগুলো বসাতে এত সময় লাগবে না।
শনিবার থেকে জাজিরা প্রান্তে ২১ ও ২২ নম্বর পিয়ারে জে-৪ স্প্যানের গার্ডার বসানোর কাজ শুরু হবে। এই স্প্যানের ওপর দিয়েই বসবে রেললাইন। এ ধরনের ১৪টি স্প্যানের বেশিরভাগের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান তারা।
এদিকে, সেতুতে রোডওয়ে স্ল্যাব ও রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ চলছে জোর গতিতে। ইতোমধ্যে সেতুতে মোট ৩১২টি রেলওয়ে স্ল্যাব ও ১৬ টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। আর শিগগিরই বসানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে ২০০০ টি রেলওয়ে স্ল্যাব ও ৮০০ টি রোডওয়ে স্ল্যাব।
সেতুতে মোট ২৯৪ টি পাইল ড্রাইভ করতে হবে। এ পর্যন্ত শেষ হয়েছে ২৩৫ টি পাইল ড্রাইভ ও ৪২ টি পিলারের মধ্যে ২৫ টির কাজ। প্রকল্পের কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে মোট ১২ টি স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) রয়েছে যার মধ্যে ৭ টি স্প্যান পিলারে বসানোর জন্য প্রস্তুত আছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পদ্মা সেতুর মূল অংশে একাদশ স্প্যান বসানোর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাওয়া প্রান্তে ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারে আরেকটি স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) বসতে যাচ্ছে এ মাসেই।
তবে স্প্যান ৩বি কবে বসানো হতে পারে তা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলীরা।