বাংলাদেশ খ্যাত ‘প্রাণ’ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করল বাংলাদেশের জাতীয় মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)। খাদ্যে ভেজাল থাকার কারণে এই লাইসেন্স বাতিল করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে শুধু প্রাণ নয়, একই সঙ্গে বুধবার বিকালে আরও ২ টি কোম্পানি সহ ২৫ টি পণ্যের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসমস্ত পণ্য বাজার থেকে তুলে নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফ থেকে।
ভারতেও বাজার দখল করেছে বাংলাদেশের প্রাণ কোম্পানি। বিশেষ করে ত্রিপুরা সহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে প্রাণের রমরমা ব্যবসা। কলকাতায়ও প্রাণ কোম্পানির বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায়। নওগাঁও-এর M/S Kiran Products কোম্পানির কিরণ লাচ্ছা সিমাই এবং চট্টগ্রামের S S consumer products-এর পিওর হাথাজারি মরিচার গুড়ো এই দুই পণ্যের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ৫২ টি খাদ্য সামগ্রীর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বুধবারই ৭ টি পণ্য এবং ১৮ টি কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করেছে বিএসটিআই।
আদালতের নির্দেশে ৩১৩ টি পণ্য বাছাই করে ৫২টি খাদ্যপণ্যকে নিষিদ্ধের তালিকায় আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও ২৭টি পণ্যের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিএসটিআইর পরিচালক প্রকৌশলী এসএম ইসহাক আলি বলেন, এসব পণ্য না কেনার জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। প্রাণের গুঁড়ো হলুদ, কারি পাউডার এবং লাচ্ছা সেমাই উৎপাদন লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বাতিল তালিকায় আরও রয়েছে- বনলতা সুইটসের ঘি, শবনম ভেজিটেবলের পুষ্টি ব্র্যান্ডের সরিষার তেল, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েলের রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের সরিষার তেল, ড্যানিশ ফুডের হলুদের গুঁড়ো ও কারি পাউডার, মোল্লা সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের আয়োডিনযুক্ত লবণ, এসিআই ফুডের ধনে গুঁড়ো ও আয়োডিন যুক্ত লবণ, নিউজিল্যান্ড ডেয়ারি প্রোডাক্টের নুডলস (স্টিক) এবং কাশেম ফুড প্রোডাক্টের সান ব্র্যান্ডের চিপস। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলিকে শুক্রবার, ১৭ মে’র মধ্যে এসব পণ্য বাজার থেকে তুলে নিতে হবে।