পলিথিনের বিকল্প হিসাবে পাট থেকে পচনশীল পলিব্যাগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সোনালী ব্যাগ’। পাইলট প্রকল্পে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) এখন প্রতিদিন প্রায় ৩০০০ পিস ব্যাগ উৎপাদন করছে। এই প্রকল্প সফল হওয়ায় ব্যাপকভাবে ব্যাগটি বাজারজাত করতে প্রতিদিন ৫ লাখ পিস ‘সোনালী ব্যাগ’ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে বারবার ব্যবহারযোগ্য এই ব্যাগের বাজার দর কমে দাঁড়াবে ৭-৮টাকা।
সংসদ ভবনে আজ অনুষ্ঠিত ‘বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২৯তম বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও সাবিনা আক্তার তুহিন বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
সংসদ সচিবালয় জানায়, বৈঠকে পাটজাত পলিথিন ‘সোনালী ব্যাগ’ প্রকল্পের কারিগরি ও আর্থিক সম্ভাব্যতা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। কমিটি ইন্টেলেকুচ্যুয়াল প্রপারটি রাইটের অধীনে আন্তজার্তিকভাবে পাটজাত এই পলিথিন ব্যাগের মালিকানা স্বত্ব বাংলাদেশের অনুকূলে রাখার জন্য প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করে। একইসঙ্গে বাণিজিকভাবে পণ্যটি বাজারজাত করণের লক্ষ্যে একটি টাষ্কফোর্স গঠনের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া দেশের পাট চাষীদের একটি পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ তৈরীর করে পাট চাষীদের সমস্যা ও প্রত্যাশা সম্পর্কে একটি স্টাডি রিপোর্ট তৈরী করার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জেডিপিসি’র নির্বাহী পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।