28 C
Dhaka
জুলাই ১৪, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জাতীয়

সমুদ্রে কাল থেকে দুই মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ

দেশের সামুদ্রিক অর্থনৈতিক এলাকায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণপূর্বক বিজ্ঞানসম্মত ও সহনশীল আহরণ নিশ্চিতের জন্য বুধবার (২০ মে) থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মে) এ বিষয়ে নির্দেশাপত্র জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্দেশাপত্রটি নৌবাহিনী সদর দপ্তর, জননিরাপত্তা বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, কোস্ট গার্ড, র‌্যাব সদর দপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, নৌপুলিশ, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, সমুদ্র উপকূলীয় ১৪ জেলার জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ, জেলা ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরে করা হয়েছে।

প্রতি বছরই সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়। এবারও সকল প্রকার মৎস্য নৌযানে সব প্রজাতির মৎস্য ও ক্রাস্টাশিয়ান্স (চিংড়ি, লবস্টার, কাটল ফিস প্রভৃতি) আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নির্দেশাপত্রে সমুদ্রগামী সকল চ্যানেলের উৎসমুখে সব মৎস্য নৌযানের গমন বারিত করা, মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকরণের ব্যাপক প্রচার, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, মৎস্য আড়ৎ, বরফকল ইত্যাদিতে নিষিদ্ধকালীন মৎস্য অবতরণ না করা, কেনা-বেচা বন্ধ এবং বরফ সরবরাহ না করা, মৎস্য অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে সমন্বয় সেল খোলা, নিষিদ্ধকালীন বিদেশি মৎস্য নৌযান যতে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় মৎস্য অহরণ করতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ, সমুদ্রগামী জেলেদের খাদ্য সহায়তা সুষ্ঠু ও যথাযথ বিতরণ নিশ্চিত করা এবং জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে নিষিদ্ধকাল যথাযথ বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

এ সব নির্দেশনার আলোকে মৎস্য অধিদপ্তর বেতার-টেলিভিশনে বিশেষ বার্তা প্রচার, স্থানীয় পর্যায়ে মাইকিং, ব্যানার প্রদর্শন, লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ, স্থানীয় প্রচারণায় কমিউনিটি রেডিওকে সম্পৃক্তকরণ, সমুদ্রে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, মাছঘাট, আড়ত ও বাজার মনিটরিং, সার্ভেল্যান্স চেকপোষ্ট হতে মৎস্য নৌযান মনিটরিং, জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার, কন্ট্রোল রুম খোলা, বাণিজ্যিক ট্রলারের সমুদ্র যাত্রা আদেশ প্রদান বন্ধকরণ, সমুদ্রে অবস্থানরত সকল ট্রলার ফিশিং বোট ১৯ মের মধ্যে ফিরে অসা নিশ্চিতকরণ, উপকূলীয় বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে অবহিতকরণ সভা আয়োজনসহ নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

এদিকে এসব কার্যক্রম যথাযথ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অনলাইন সভার মাধ্যমে দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, সমুদ্রে মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, মাছকে বেড়ে উঠতে দেয়া এবং অবৈধ মাছ আহরণ বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত আমরা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে চাই। কাউকে আইনের বাইরে কোনো কিছু করতে দেয়া হবে না।

এ কাজে স্থানীয় প্রশাসন, নৌবাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, নৌপুলিশসহ স্থানীয় অংশীজনদের সহায়তা কামনা করেন তিনি। এ সময়ে সমুদ্রগামী ৪ লক্ষ ১৯ হাজার ৫ শত ৮৯টি জেলে পরিবারের জন্য ইতোমধ্যে ২৩ হাজার ৪৯৬ দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন ভিজিএফ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

সম্পর্কিত পোস্ট

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা

banglarmukh official

শুক্রবার কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার নিশ্চিতের নির্দেশ

banglarmukh official

২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে

banglarmukh official

জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায়

banglarmukh official