দেশের সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সহীন ড্রাইভারদের বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে না পারায় বিআরটিএ’র প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্ট জিজ্ঞাসা করেন, লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন ছাড়া গাড়ি চলছে। পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে কীভাবে লাইসেন্স ছাড়া এসব যান চলে? এভাবে চলে বলেই হয়তো মানুষ মারা যাচ্ছে। আমাদের একটা সিস্টেমের মধ্যে আসতেই হবে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার (২৪ জুন) যানবাহনের ফিটনেস ও চালকের লাইসেন্স-সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানিকালে এই মন্তব্য করেন।
সারাদেশে রেজিস্ট্রেশনের পর ফিটনেস নবায়ন না করা যানের সংখ্যা ও লাইসেন্স নবায়ন না করা চালকের সংখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী এক মাসের মধ্যে বি আরটিএকে এই তথ্য প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন আদালত। একই সঙ্গে ফিটনেস নবায়ন না করা যান ও লাইসেন্স নবায়ন না করা চালকের ব্যাপারে বিআরটিএ আইনগত কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা ঐ সময়ের মধ্যে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এসময় বিআরটিএ’র পরিচালকের উদ্দেশ্যে আদালত বলেন, অফিসে বসে বসে শুধু কি চা খাইলে হবে? দেশপ্রেম থাকতে হবে। বিআরটিএ কি করে? আমরা কেন ডাকবো, তাদের (বি আরটিএ) ডাকতে হবে কেন? তারা (বিদেশিরা) পারছে, আমরা পারছি না কেন? আমরা সোনার বাংলা গড়তে চাই। কিন্তু কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করছি না, একথাও যোগ করেন আদালত।
‘নো ফিটনেস ডকস, ইয়েট রানিং’ শিরোনামে গত ২৩ মার্চ ইংরেজি পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি নজরে এলে গত ২৭ মার্চ হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ অর্ন্তবর্তীকালীন আদেশ দেন।
আদালত বিআরটিএ’র পরিচালককে (রোড সেফটি) ২৪ জুন (আজ) আদালতে হাজির হতে বলেন। একই সঙ্গে লাইসেন্সবিহীন চালক ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন যানের সংখ্যা সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।
আদালতে বিআরটিএ’র পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মঈন ফিরোজী। সঙ্গে ছিলেন রাফিউলইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনুদ্দিন। দুদকের পক্ষে ছিলেন সৈয়দ মামুন মাহবুব।