স্টাফ রিপোর্টার// শাওন অরন্য:
“আড়ং” এর নিয়মিত গ্রাহক ছিলাম বলতে গেলে। লুটপাট যখন জায়েজ করা হবে, গণমানুষের উপর খবরদারি চলবে, শোষণ চলবে; তখন ঈদের নতুন জামা পুড়িয়ে হলেও আড়ং বর্জনের ডাক দিলাম। লুটপাটের বিপক্ষে ঐক্যবদ্ধ হোন….!! এভাবেই বলছিলেন আড়ং এর পন্য ব্যবহারকারী আহমাদুল্লাহ নামে এক যুবক।
আহমাদুল্লাহ এবার ঈদে পরার জন্য আড়ং থেকে একটি লাল রং এর সার্ট কিনেছিলেন। কিন্তু আড়ং এর এমন গলাকাটা ডাকাতি এবং মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের বদলির ব্যাপারে খুব্দ হয়ে আড়ং পণ্য বর্জনের ডাক দেন এবং নিজের কেনা সেই লাল সার্টটি নিজ হাতে পুড়িয়ে ফেলেন।
উল্লেখ্য,৭০০ টাকার পাঞ্জাবি ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি করায় জরিমানা করা হয় আড়ংকে। গত ২৫ মে এক ক্রেতা উত্তরা আড়ং থেকে একটি পাঞ্জাবি কেনেন ৭১৩ টাকায়। একই পাঞ্জাবি ৩১ মে কিনতে গেলে দাম রাখা হয় ১ হাজার ৩১৫ টাকা। ভোক্তা অধিদফতরে এমন অভিযোগ করেন এক ভোক্তা। এর পরিপ্রেক্ষিতে।উত্তরা আড়ংয়ে অভিযান চালিয়ে এর সত্যতা পায় অধিদফতর। আড়ং অভিনব কায়দায় বেশি দাম লিখে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে। ছয়দিনে একটি পাঞ্জাবির দাম বেড়েছে ৬০০ টাকা। যার কোনো কারণ জানাতে পারেনি আড়ংয়ের শোরুমের কর্মকর্তারা। এ অপরাধে তাদের সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।