নিউজ ডেস্ক :: ঈদের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশে বাড়ি ত্যাগ করছেন নাড়ির টানে ঘরে ফেরা মানুষেরা। আর তাই ভোলার লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে উপচেপড়া ভিড়।
রোববার (৯ জুন) বিকেল থেকে ভোলা নদী বন্দরসহ জেলার সাত উপজেলা থেকে ২১টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। যার মধ্যে জেলা সদর টার্মিনাল থেকে গেছে ৫টি লঞ্চ। তবে এসব লঞ্চের বেশির ভাগ লঞ্চেই ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী।
ভোলা নদী বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে কর্ণফুলী-৪, ১০ ও ১১, এমভি ভোলা ও গ্লোরী অব শ্রীনগর-৭ ছেড়ে যায়। বিআইডব্লিটিএ এর হিসেবে এসব লঞ্চে সব মিলিয়ে ৫ হাজারের মত যাত্রী ধারণক্ষমতা হলেও যাচ্ছে ১০ থেকে ১৫ হাজার যাত্রী।
লঞ্চের ডেকে হাজারো মানুষের চাপ। কোথাও তীল ধারণের জায়গা নেই।
ভোলার সঙ্গে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম হচ্ছে নৌ-পথ। তাই লঞ্চে চেপেই রাজধানীর উদ্দেশে যেতে হয় দ্বীপজেলা ভোলার মানুষকে।
জানা যায়, চাকরি, ব্যবসা, পড়াশুনাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে জেলার অন্তত ৫ লাখ মানুষ ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন। ঈদের সময় ছুটি পেলেই তারা নাড়ির টানে বাড়ি ফিরে আসেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের ছুটিতে ফিরে আসেন তারা। এখন ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছেন।
ভোলা নদী বন্দরেও দেখা গেছে, রাজধানীমুখী মানুষের চাপ। ছুটি শেষ হওয়ায় অতিরিক্ত যাত্রী হয়েই ফিরে যাচ্ছেন তারা। তবে ধারণক্ষমতার বেশী যাত্রী থাকায় অনেকটা ঝুঁকি উপেক্ষা করেই ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। সদর থেকে ৫ টিসহ দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, তজুমদ্দিন, মনপুরা, চরফ্যাশন উপজেলা থেকে সর্বমোট ২১টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে ভোলা বিআইডব্লিউটিএ সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, জেলা থেকে ২১টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। লঞ্চগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রীবহন করতে না পারে সেজন্য আমাদের অভিযান চলছে।