28 C
Dhaka
জুলাই ৬, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
প্রশাসন

জীবনের প্রথম নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সার্জেন্ট হয়েছি

এসএসসি পাস করেছি ২০০৭ সালে, লক্ষ্মীপুরের জয়পুরা এসআরএমএস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। চাঁদপুরের আল-আমীন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০০৯ সালে এইচএসসি পাস করেছি। চাঁদপুর সরকারি কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময় থেকেই চাকরির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি। চাকরির ক্ষেত্রে প্রথম টার্গেট ছিল বিসিএস। ছাত্রজীবনে টিউশনি করার কারণে পাটিগণিত, ইংরেজি গ্রামারে ভালোই দক্ষতা ছিল, যা চাকরির প্রস্তুতিতে বেশ কাজে দিয়েছিল। নবম-দশম শ্রেণির পাশাপাশি পঞ্চম শ্রেণির বই থেকে পাটিগণিত করেছি। ইংরেজি গ্রামারের সাধারণ নিয়ম, বানান ও শব্দভাণ্ডার খেয়াল করে পড়েছি। সাধারণ জ্ঞান ও সাম্প্রতিক তথ্যের জন্য কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ও দৈনিক পত্রিকা দেখেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, বিসিএস টার্গেট করে কেউ যদি ভালোভাবে প্রস্তুতি নেয়, তাহলে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোথাও না কোথাও তিনি চান্স পেয়ে যাবেন।

বোটানিতে অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম বিভাগে পাস করি।

ঢাকায় এসে ভর্তি হই বিসিএস কোচিংয়ে। এর দুই মাস পর ‘২৫তম পুলিশ সার্জেন্ট নিয়োগ-২০১৭’ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়ে। শারীরিক পরীক্ষার তারিখ ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ঢাকায়। শারীরিক পরীক্ষায় আমি নির্বাচিত হই। এটিই ছিল আমার চাকরিজীবনের প্রথম পরীক্ষা। প্রথম ধাপের (শারীরিক পরীক্ষা) বাছাইয়ের পর মনে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস চলে আসে। লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হই। সিলেবাস ঘেঁটে দেখি—ইংরেজি, বাংলা রচনা, কম্পোজিশনের জন্য থাকছে ১০০ নম্বর; সাধারণ জ্ঞান ও পাটিগণিতে ১০০ এবং মনস্তত্ত্বে ৫০ নম্বর। সব মিলিয়ে ২৫০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দেড় মাসের মতো সময় পেয়েছিলাম। ২৭-২৯ মার্চ ২০১৭—এই তিন দিন লিখিত পরীক্ষা হয়। প্রশ্ন হাতে পেয়েই মনে হয়েছে, এ ধাপও টপকাতে পারব। যা ভেবেছিলাম, তা-ই হলো। এবার ভাইভা। দিনের প্রথম ভাইভাটি ছিল আমার। শুনেছি—প্রথম দিকের ভাইভায় বেশি সময় ধরে প্রশ্ন করা হয়। তাই মনে ভয় ভয় লাগছিল; কি না কি জিজ্ঞেস করে! পারব তো? তখন দেশে মৌসুমি বন্যা। ভাইভার শুরুতেই ‘মৌসুমি বন্যা কোথায় হচ্ছে? এতে বাংলাদেশের আর্থিক কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে?’ প্রশ্ন করা হয়। পত্রিকা নিয়মিত মন দিয়ে পড়তাম, তাই উত্তর দিতে বেগ পেতে হয়নি। উত্তর শুনে ভাইভা বোর্ডের স্যাররা আশ্বস্ত হন। যতটা কঠিন ভেবেছিলাম, তেমনটা হয়নি। এ ধাপও শেষ হলো।

সব শেষে মেডিক্যাল পরীক্ষা। একে একে সব রকমের মেডিক্যাল পরীক্ষায় টিকে সার্জেন্ট নিয়োগপ্রক্রিয়ায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হই। মজার ব্যাপার হলো, আমার মাস্টার্স পরীক্ষার ফল পাওয়ার এক মাস পাঁচ দিনের মাথায় পুলিশ সার্জেন্ট হিসেবে নিয়োগের ফল পাই। আমার শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার পরপরই চাকরিজীবন শুরু হয়।

২০১৭ সালের নভেম্বরে শিক্ষানবিশ সার্জেন্ট হিসেবে জয়েন করি। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে (সারদা, রাজশাহী) এক বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষ করি। এখন লক্ষ্মীপুর জেলায় ‘পুলিশ সার্জেন্ট’ হিসেবে কর্মরত আছি। চাকরি করছি বলে বিসিএসের আশা ছাড়িনি। এখন আমার মূল টার্গেট বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে পুলিশ ক্যাডারে চান্স পাওয়া।

সম্পর্কিত পোস্ট

রমজানে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে বরিশাল

banglarmukh official

ডেভিল হান্টে গ্রেফতার আরও ৬৭৮

banglarmukh official

দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনা সদস্যদের যে বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান

banglarmukh official

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাছে ম্যাজিক নাই: আইজিপি

banglarmukh official

১২ পুলিশ সুপারকে বদলি

banglarmukh official

মামলা বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে এসআই প্রত্যাহার

banglarmukh official