পুণ্যময়ী রজনী পবিত্র লাইলাতুলকদর উপলক্ষ্যে তুরস্কে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষ স্মৃতি তাঁর পবিত্র দাড়ি মুবারক জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
৩১ মে তুরস্কের স্থানীয় সময় অনুযায়ী পবিত্র লাইলাতুলকদর উপলক্ষ্যে রাজধানী আঙ্কারার সুলতান আলাউদ্দিন মসজিদে বাদ জুম্মা মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাড়ি মুবারক উন্মুক্ত করা হয়।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের সংরক্ষিত এই স্মৃতি অবলোকন করার জন্য ভীড় জমায় হাজারো রসূলপ্রেমী উৎসুক জনতা।এজন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় তাদের। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দুরূদ পাঠ করতে করতে যখন অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়-তখন সে কি আনন্দের ছাপ চোখেমুখে।
উল্লেখ্য, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র দাড়ি মুবারক প্রতিবছর মাত্র একদিন উন্মুক্ত করা হয়-এজন্য দর্শনার্থীদের আগ্রহ ও সমাগম থাকে চোখে পড়ার মতো। এসময় অনেককে বেশি বেশি দোয়া দরূদ পাঠ করতে দেখা যায়। আনন্দের আতিশয্যে কেউ কেউ দু’চার রাকাত শুকরিয়ার নামাজও আদায় করেন।
ফিলিস্তিনি পবিত্র শহর বিক্রয়যোগ্য কোনো পণ্য নয় : ইরান
জেরুজালেম আল-কুদসের (বায়তুল মুকাদ্দাস) ওপর দখলদারিত্ব পাকাপোক্ত করার কাজে ইহুদিবাদী ইসরাইলের পক্ষ অবলম্বন করায় আরব শাসকদের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ।
তিনি বলেছেন, অধিকৃত এই পবিত্র ফিলিস্তিনি শহর বিক্রয়যোগ্য কোনো পণ্য নয়। তিনি শুক্রবার নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুসলমানদের প্রথম ক্বিবলা আল-আকসা মসজিদসমৃদ্ধ এই নগরীকে ইহুদিবাদীদের কাছে সমর্পণ করার অধিকার কারো নেই।
টুইটার বার্তায় জারিফ বলেন, “কোনো কোনো আরব শাসক মনে করছেন তারা যদি (ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন) নেতানিয়াহুর তাবেদারি করেন তাহলে তারা তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবেন।” ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক আরো বলেন, “ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম থাকা সত্ত্বেও (ফিলিস্তিনি সংগ্রামীদের রকেট হামলা থেকে) ইসরাইলকে রক্ষা করতে পারেননি।
তাহলে তিনি কীভাবে আরব শাসকদের রক্ষা করবেন?” এর আগে বুধবার মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ আরেকটি টুইটার বার্তায় বলেছিলেন, জেরুজালেম আল-কুদস ফিলিস্তিনি জনগণের সম্পদ। এটি ইহুদিবাদী ইসরাইল বা আমেরিকার সম্পদ নয় যে তারা এ নগরীর ভবিষ্যত নির্ধারণ করবেন।
তিনি বলেন, আল-কুদস যেমন আমেরিকার নয় তাই এটি ইসরাইলকে দিয়ে দেয়ার কোনো অধিকার তার নেই তেমনি এই নগরী ইসরাইলেরও সম্পদ নয় যে, সে জোর করে এর মালিকানা গ্রহণ করবে।
ফিলিস্তিনের জেরুজালেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার আমেরিকার নেই!
জেরুজালেম আল-কুদস ফিলিস্তিনি জাতির সম্পদ। কাজেই এ ব্যাপারে আমেরিকা বা ইহুদিবাদী ইসরায়েল সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ এ কথা বলেছেন। বুধবার নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি ।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ জারিফ বলেন, আল-কুদস (জেরুজালেম) আমেরিকার কোনো বিষয় নয় যে সে দিয়ে দেবে এবং ইসরায়েলেরও কোনো বিষয় নয় যে, সে নিয়ে নেবে।
অথবা এই নগরী কোনো পণ্য নয় যে কেউ তা বেচাকেনা করবে। এটি ফিলিস্তিনিদের উত্তরাধিকার এবং তাদেরই থাকবে। বুধবার সন্ধ্যায় তেহরানে নিযুক্ত মুসলিম দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সম্মানে এক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, আল-কুদস হচ্ছে মুসলমানদের প্রথম কেবলা এবং তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।
মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ মুসলিম বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত বেদনাদায়ক’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এর চেয়ে কষ্টদায়ক আর কিছু হতে পারে না যে, আমেরিকা ও ইসরায়েল মিলে আল-কুদসের ভবিষ্যত নির্ধারণের যে লজ্জাজনক পরিকল্পনা তৈরি করেছে তার প্রতি সমর্থন দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যেরই কিছু আরব দেশ।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার চিরতরে নির্মূল করে দেয়ার লক্ষ্যে আমেরিকা কথিত ‘শতাব্দির সেরা চুক্তি’ নামক পরিকল্পনা তৈরি করেছে। সৌদি আরবসহ কয়েকটি আরব দেশ এই পরিকল্পনার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। এই পরিকল্পনায় আল-কুদসকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের হাতে ন্যস্ত করার কথা বলা হয়েছে এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের মাতৃভূমিতে ফিরে আসার অধিকার চিরতরে খর্ব করা হয়েছে।
এই ন্যক্কারজনক পরিকল্পনায় আরো বলা হয়েছে, জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকার যতটুকু অংশে এখন ফিলিস্তিনিরা ঘেরাও হয়ে রয়েছে ততটুকু অংশ নিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হবে।