ঈদের বন্ধ এবং সরকারি সাপ্তাহিক ছুটি শেষে বুধবার খুলছে গার্মেন্টস। এ কারণে মঙ্গলবার বরিশাল নদী বন্দরে ছিলো কর্মস্থলমুখী মানুষের অতিরিক্ত ভিড়। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে আজ বরিশাল নদী বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ২০টির অধিক সরকারি-বেসরকারি লঞ্চ-স্টিমার।
বুধবার পর্যন্ত অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড় অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঈদের পরদিন ৬ জুন থেকেই প্রিয়জনকে ছেড়ে রাজধানীমুখী হতে শুরু করে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
গত ৫ দিন ধরে বরিশাল নদী বন্দর থেকে লাখ লাখ যাত্রী বিশাল বিশাল অত্যাধুনিক লঞ্চ বোঝাই করে কর্মস্থল রাজধানীতে ফিরেছে।
মঙ্গলবারও বরিশাল নদী বন্দরে ঢাকামুখী অতিরিক্ত যাত্রীদের স্রোত দেখা গেছে।
যাত্রীরা জানান, সল্প ভাড়ায় নিরাপদে আরামদায়ক যাত্রার জন্যই তারা নৌ-পথকে বেছে নিয়েছেন। লঞ্চে ঘুমিয়ে যাওয়া যায় বলে অনেকের কাছেই নৌপথ পছন্দের। তারা বলেন, মাত্র আড়াই শ’ টাকায় বরিশাল থেকে ঢাকা যাওয়ার ব্যবস্থা একমাত্র নৌ-পথেই। নৌপথ ছাড়া এত কম টাকায় বরিশাল থেকে ঢাকা যাওয়ার বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই। নৌ-পথে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও কম বলে যাত্রীরা জানান।
বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি পারাবত-৮ লঞ্চের সুপারভাইজার নজরুল ইসলাম খান জানান, ঈদের ছুটির পর আগামীকাল বুধবার প্রথমবারের মতো গার্মেন্ট খুলছে। এ কারণে বরিশাল প্রান্তে মঙ্গলবার যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ।
বুধবার পর্যন্ত অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ অব্যাহত থাকবে বলে তারা ধারণা করছেন।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, নদী বন্দরে যাত্রীদের শৃঙ্খলা রক্ষায় রোভার স্কাউটসহ স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই রোধে প্রতিটি লঞ্চে নজরদারি করা হচ্ছে। লঞ্চের লোড লেভেল অতিক্রমের আগেই প্রতিটি লঞ্চকে বন্দর ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
এদিকে নদী বন্দরে আজও নৌ-পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশ এবং গোয়েন্দা পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম জানান, নদী বন্দরে পকেটমার, ছিনতাইকারী, অজ্ঞানপার্টি ও মলমপার্টি এবং বখাটে রোধে পোষাকধারী পুলিশের পাশাপাশি কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছে।