ভান্ডারিয়ায় জলের আগেই জালের ফুটপাতের জালের হাটে ভিড় পড়ে গেছে। ঝৃতু প্রক্রিয়ায় বৈশাখ, জৈষ্ঠ্য গ্রীষ্মকাল। আষার, শ্রাবন বর্ষাকাল। নদ-নদী বেস্টিত দেশের গ্রামীণ জনপদে এই বর্ষা মৌসুমে মিঠা পানির মাছ শিকারের ধুম পড়ে যায়। এক দিকে যেমন ইলিশ মৌসুম থাকে অন্যদিকে কম আয়ের মানুষ নিজেদের বাড়ি সংলগ্ন বিভিন্ন জলাশয়ে বুচনা জাল,কইয়া জাল সহ বিভিন্ন ধরনের জালের ফাঁদ পাতে মাছ শিকারের জন্য।
আর সে জন্য সর্ব নিন্ম ২৫০টাকা থেকে জলাশয়ের অবস্থান অনুযায়ী ৪০০/=,৫০০/= এবং সবোচ্চ হাজার ,পনেরশ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন সাইজের জাল ক্রয় করে থাকেন। সরেজমিনে গতকাল শনিবার বর্ষা মৌসুমের শুরুর দিনে ভান্ডারিয়ায় বাজারে হাটের দিন থাকায় স্থানীয় রিজার্ভ পুকুর পাড়ের ফুটপাতে অস্থায়ী জালের দোকানে জাল কেনার ভিড় দেখা গেছে। আলাপকালে জাল, চাই বিক্রেতারা জানান, বর্ষা মৌসুম আসছে। আর এই সময়ে গ্রামঞ্চলের ডোবা, পুকুর, ছোট খাট খালে সৌল,কই,সিং, মাগুর, বাইলা, ট্যংরা, চিংড়ি, পাবদা, পুটিসহ হরেক রকমের মিঠা পানির মাছ শিকারের জন্য গ্রামের মানুষ এই সকল জাল ,চাই স্বল্পমূল্যে কিনে থাকে। তাদের পরিবারের নিত্য দিনের আমিষ খাবারের জন্য মাছের চাহিদা পুরন করে থাকে। আর এই জালের কদর বেশি থাকার কারন হল ইলিশের মৌসুম হলেও তার দাম থাকে চড়া।
যা কম আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। আর সাগরের মাছ দীর্ঘদিন ধরে থাকে ট্রলারে,তার উপর তা ভাল রাখতে ক্যামিকেলের ব্যবহার থাকায় সাগরের মাছও তারা তেমন পছন্দ করেনা। বিশেষ করে এই সিজনে সাধারণ মানুষ একদিকে প্রতিদিন ছোট হলেও তাজা মাছ পায় অন্যদিকে এই সকল ছোট মাছ খাওয়ায় শরীরের বেশ উপকারে আসে।