হঠাৎ একটি অদ্ভুত সামুদ্রিক প্রাণী চোখে পড়ল। প্রাণীটির উদ্ভট চেহারা দেখে অবাক হলেন অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে হাঁটা কয়েকজন পর্যটক।
শুক্রবার, কোজি সি-সাইড এসকেপ রহস্যময় প্রাণীটির ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে। ছবিতে দেখা যায় সৈকতের বালুতে শুয়ে রোদ পোহাচ্ছে উদ্ভট প্রাণীটি। ভিক্টোরিয়া’স জিপসল্যান্ড অঞ্চলে অবস্থিত গোল্ডেন বিচ থেকে অদ্ভুত প্রাণীর ছবিটি তোলা হয়। শার্ক প্রজাতির বিরল ক্যাটশার্কটি তখন ছোট মাছ খাচ্ছিল বলে জানিয়েছে ফক্স নিউজ। অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য থাকলেও প্রাণীটি মানুষের জন্য হুমকি নয়।
ফেসবুকে অনেকেই ক্যাটশার্কটি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। দুর্লভ উদ্ভট প্রাণীটি দেখার সুযোগ পেয়ে অনেকেই নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করার কথা লিখেছেন মন্তব্যে।
একজন লিখেছেন, ‘এটি অবিশ্বাস্য-প্রকৃতির সর্বশ্রেষ্ঠ দান।’
তবে, সমুদ্র সৈকতে প্রাণীটি দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। এদের একজন লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিত নই, এটি ভালো নাকি মন্দ। অন্য একজন লিখেছে, গভীর সমুদ্রে এমন কিছু ঘটছে যার ফলে এমন আজব প্রাণী ওপরে উঠে আসছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু কিছু ক্যাটশার্ক আছে যারা অন্ধকারে এমন আলো ধারণের ক্ষমতা রাখে যাতে অন্য ক্যাটশার্কের কাছে বার্তা পাঠানো যায়।
সায়েন্টিফিক রিপোর্ট-এ প্রকাশিত এক গবেষণার ফল অনুযায়ী, সমুদ্রে দুই প্রজাতির শার্ক দেখা যায়, একটি চেইন ক্যাটশার্ক এবং অপরটি সোয়েল ক্যাটশার্ক। এরা সমুদ্রের নীল আলো শুষে নিতে পারে এবং ওই নীল আলো পুনরায় নির্গত করতে পারে। এর কারণ হচ্ছে প্রাণীটি নিজেই উজ্জ্বল সবুজ রং ধারণ করার ক্ষমতা রাখে।
পিবিএসের মতে, বিভিন্ন সমুদ্রের উষ্ণ পানিতে ক্যাটশার্ক পাওয়া যায়। অনেক গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে এটি একটি সাধারণ ব্যাপার। এগুলো সাধারণত আকারে ছোট, মাত্র আড়াই ফুট বা তার চেয়েও কম। প্রাণীটির চোখ দুটি বেশ বড় বড়। অনেকটা বিড়াল জাতীয় প্রাণীর মতো। আর দাঁত রয়েছে ৪০ থেকে ১১০ সারি। তবে অস্ট্রেলীয় সমুদ্র সৈকতে পাওয়া প্রাণীটির মতো নয়।