আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন সদস্য সংগ্রহের অভিযান কর্মসূচি শুরু করবে আওয়ামী লীগ। এবার সদস্য নবায়নের চেয়ে নতুন সদস্য সংগ্রহে গুরুত্ব দেওয়া হবে। জেলা, উপজেলা শাখা নিয়মাবলি মেনে সদস্য সংগ্রহের বই করবে এবং সদস্য সংগ্রহ করবে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। শুক্রবার দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেক নবীন এবার নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছে। এর মধ্যে ক্লিন চরিত্রের যারা আছে, আমরা তাদের নতুন সদস্য করব। অন্য দল থেকে আগত কাউকে সদস্য করার ব্যাপারে দলের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। সাধারণত রক্তের সম্পর্কের ব্যাপারটা—বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধের ছেলেমেয়ের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখব। যাকে সদস্য করা হবে তার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করা, ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে কি না, কোনো সাম্প্রদায়িক দলের সঙ্গে সম্পর্ক আছে কি না, সে বিষয়গুলো দেখা হবে।’
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন নিয়ে চলমান সংকট প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের যে চার সহকর্মী দায়িত্বে আছেন তাঁরা জবাব দিতে পারবেন। ছাত্রলীগের ব্যাপারে আমাদের চারজন সহকর্মীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব দিয়েছেন। কাজেই এ সম্পর্কে আপনারা কিছু জানতে চাইলে তাঁরা জবাব দেবেন।’
যদি এই চার নেতা ব্যর্থ হন তাহলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাঁরা সফল কী ব্যর্থ তার বিচার প্রধানমন্ত্রী করবেন। আমি নিজেও এ বিষয়ে খুব বেশি কিছু একটা জানি না। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ভালো বলতে পারবেন।’
ছাত্রলীগের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় চার নেতা হলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম ও বি এম মোজাম্মেল। গত ১৩ মে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর থেকেই পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার আন্দোলন করছেন।