স্টাফ রিপোর্টার// কাইয়ুম খান:
গাবখান সেতু ৫ম বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সেতু।যেটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গাবখান চ্যানেলের উপর দিয়ে।
এ সেতুর নির্মাণশৈলী একে দেশের অন্যান্য সেতু থেকে আলাদা করেছে। গাবখান চ্যানেলটি বাংলাদেশের একমাত্র কৃত্রিম নৌপথ যা বাংলার সুয়েজখাল নামে পরিচিত।
এবং এটি আন্তর্জাতিক নৌপথ ও। এই পথ দিয়েই ঢাকা- মংলা,ও চট্টগ্রাম-মংলা বন্দরে যেতে হয়। সন্ধ্যা ও সুগন্ধা নদীর সংযোগ কারি কৃত্রিম খালটি ১৮ কিমি দৈর্ঘ্য।চ্যানেলের দু’পাশে সবুজের সমারোহ।জলের সাথে গাছ-গাছালির সে কী গভীর মিতালী! দেশে যতগুলো নৌ চ্যানেল আছে,সৌন্দর্যের দিক থেকে গাবখান চ্যানেল অন্যতম। প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন এ নৌপথের সৌন্দর্যটুকু মুগ্ধতার শেষ অবধি টেনে নেবে যদি তা শতবর্ষী কোন প্যাডেল স্টীমারের ফ্রন্ট ডেক কিংবা মাস্টার ব্রীজ থেকে উপভোগ করা যায়।
এই খালের উপর গাবখান ব্রিজ টা দেশের সর্বোচ্চ উচু সেতু। গাবখান সেতুর আদর্শ উচ্চতা পানির উপরিতল থেকে ৬০ ফুট। গাবখান চ্যানেল দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত প্রোটোকল চুক্তির জাহাজ এবং ঢাকা-খুলনা-মংলা-চট্টগ্রাম পথের পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে প্রতিনিয়ত। এর নির্মাণশৈলী বাংলাদেশের অন্য সব সেতু থেকে আলাদা।এছাড়াও এর আরো একটি বিশেষত্ব আছে।গাবখান চ্যানেলটি বাংলাদেশের একমাত্র কৃত্রিম নৌপথ। বাংলার সুয়েজ খাল খ্যাত গাবখান চ্যানেলটি ১৮০০ সালের শেষের দিকে খনন করা হয়।
এটি উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির বিষখালী,সুগন্ধা,পিরোজপুরের কচা,সন্ধ্যা এবং বরগুনার বলেশ্বর নদের সঙ্গে সংযুক্ত। ১৯৫০ সালে মংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার পর এটি আন্তর্জাতিক নৌ পথ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ,আসাম এবং মেঘালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌ যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ গাবখান নদী। এ নদী দিয়ে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০টি দেশি-বিদেশি পণ্য ও যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল করে।