শনিবার (১৫ জুন) দুপুর ১২টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী।
তিনি বলেন, ঈদের আগ থেকেই বরিশাল মালিক সমিতির চাঁদার হার বাড়িয়েছে। ২০ টাকার স্থলে ৫শ টাকা, ৩শ টাকার স্থলে ৫শ টাকা এমন করে বাড়িয়েছে। যা মালিকদের প্রতিনিধি হয়ে কেরানীরা উত্তোলন করছিলেন। কিন্তু শ্রমিকরা কেরানীদের এতো বেশি টাকা দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। চাঁদা না দেওয়ায় ঈদের পর বেশ কয়েকদিন আমাদের চালক ও শ্রমিকদের মারধর করেন কেরনীরা। সবশেষে শনিবার সকালে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির বাসচালক মিলনকে মারধর করেন বরিশালের শ্রমিকরা। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকরা ঝালকাঠি জেলার অভ্যন্তরীণ ৮ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন, পাশাপাশি ঝালকাঠি জেলার সড়কপথ হয়ে বরিশাল মালিক সমিতির কোনো বাসও চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও দূর-পাল্লার বাস চলাচলে কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না।
ঝালকাঠি বাস মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন খান বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের কাজ। তাই যেখানে শ্রমিকদের নিরাপত্তার প্রশ্ন সেখানে তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে আমাদের। বাড়তি এই চাঁদার জন্য ঈদের পর আমাদের ৪/৫ জন শ্রমিকদের মারধর করেছেন বরিশালের মালিক শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে বরিশাল রুপাতলীস্থ বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন বলেন, চাঁদা বা মারধরের কোনো বিষয় নেই। সকালে পিরোজপুর ও ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির বাস স্টাফদের মধ্যে যাত্রী তোলা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। বরিশাল মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতারা তার সমাধান করতে গেলে তারা তা উপেক্ষা করেন। পরে ঝালকাঠি মালিক সমিতি বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। আমরা যাত্রী তুলে বাস রুপাতলী স্ট্যান্ড থেকে ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে ছাড়লেও তা তারা চালাতে দিচ্ছেন না।