বরিশাল কোস্টগার্ডের নামে ৩ মাঝির চাঁদাবাজি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, বরিশাল র্কীতনখোলা নদীতে অবস্থিত (বগুরা জাহাজ ও রসুলপুর ক্যাম্প) এর মাঝি হাছান, রুবেল,দুদু, রফিকসহ একাধীক সহযোগী চাঁদাবাজির গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে সাধারন জেলেরা।
অবৈধ রেণুপোনা, ইটভাটা,কারেন্ট জাল ব্যবসায়ী,সাধারন জেলে, জাটকা বহনকারী লঞ্চ সহ প্রতিটি স্থান থেকে কোস্টগার্ডের সদস্যদের ভয় দেখিয়ে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা উঠায় মাঝিরা।
একটি সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের জলসীমায় কোস্টগার্ড সক্রিয় উপস্থিতি ও সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের শুভ সূচনা হয়। বঙ্গোপসাগর বিধৌত নদী-মাতৃক বাংলাদেশের অর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন বিভিন্ন নদ-নদী এবং বিশাল সমুদ্রের নিজস্ব এলাকা ব্যবহারের মধ্যে নিহিত।
কোস্ট গার্ড এ্যাক্ট ১৯৯৪” মহান জাতীয় সংসদে পাশ করার মাধ্যমে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড গঠন করা হয় এবং ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী একটি আধা সামরিক বাহিনী হিসাবে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানা, তৎসংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চল এবং বিভিন্ন নদ নদীতে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছে । তা ছাড়া দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম এবং মংলা সমুদ্র বন্দরে আগত বিদেশী ও দেশী জাহাজসমূহের নিরাপত্তা প্রদান, সুবিশাল সুন্দরবনের পর্যটক, মৌয়াল, চিংড়ি চাষী, মাঝি ও অন্যান্য জনগনের নিরাপত্তা প্রদান করে কোস্ট গার্ড দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জম্মলগ্ন থেকে জলোচ্ছ্বাস, ঘূণিঝড়, সুনামি ও দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় উপকূলীয় জনগনকে সার্বিক সহায়তা এবং ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানে অংশ গ্রহণ করে সর্বমহলে প্রশংশিত হয়েছে। তাই জাতীয় ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোস্টগাডের অবদান অর্পীসীম। মানব পাচার রোধ ও মাদকদ্রব্য, অবৈধ অস্ত্র পাচার রোধ ও মাদকদ্রব্য, অবৈধ অস্ত্র পাচার ও বিশেষ করে ইলিশ রক্ষায় কঠোর ভূমিকা রাখেন । বর্তমানে নদীপথে কোস্টগার্ডের ভূমিকা অতুলনীয়। তাই কোস্টগার্ডের সেই ইমেজ নষ্ট করার জন্য উঠে পরে লেগেছে মাঝি হাছান,রুবেল,দুদু, রফিকসহ একাধীক সহযোগী ।
অভিযোগ সূত্রে জানায়ায়,বিভিন্ন স্থান থেকে সাধারন জেলেদের ভয় দেখিয়ে তাদের জিম্মি করে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা মাসহারা উঠায় মাঝি হাছান,রুবেল,দুদু, রফিকসহ একাধীক সহযোগী । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক জেলেরা জানায়, ১০/১২ জন মিলে প্রতিমাসে বগুরা জাহাজ ও রসুলপুর ক্যাম্প এর মাঝিদের ৬ থেকে ৭ হাজার করে মাসহারা দেয়। এ ছাড়া বিভিন্ন নদীতে জেলেদের জিম্মি করে এ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। আর মাঝিদের মাসহারা না দিলে সাধারন জেলেদের মাছ ধরতে নদীতে নামতে দেয় না।
তারা আরো জানায়, কোস্টগার্ড শ্রীপুর,চন্দ্রমোহন,ভাসানচর,ঝালকাঠিসহ বিভিন্ন নদীতে অভিযান পরিচালনা করবে তা আগে থেকেই হাছান,রুবেল,দুদু, রফিক জেলেদের জানিয়ে দেয়। তবে মাঝে মাঝে অভিযুক্ত মাঝিরা বিভিন্ন স্থানে জেলেদের বাড়িতে কোস্টগার্ডের সদস্য ছাড়াই অভিযান চালায় ।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে (ছদ্দনাম) মামুন জানায়, কোস্টগার্ডের ভয় দেখিয়ে ঘর বা নৌকা থেকে সুতাজাল সহ কারেন্ট জাল নিয়ে যায় মাঝিরা। তবে এক জেলের কাছ থেকে ঈদের ৭/৮দিন আগে ২ হাজার টাকা চাঁদা নেয় হাসান ও দুদু মাঝি।
এবিষয় কোস্টগার্ড ভোলা দক্ষিন জোনের লেঃ কমান্ডার নাজিউর রহমান জানান, চাঁদাবাজি করার জন্য মাঝিদের নিয়োগ দেয়া হয়নি। তাদের কাজ করার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যদি এর রকমের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তা হলে মাঝিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনসহ কোস্টগার্ড থেকে বহিস্কার করা হবে।
এদিকে অনুসন্ধানে জানাযায়, কোস্টগার্ডের কিছু অসাধু সদস্যদের মাধ্যমে প্রতিদিন অভিযানে ১২/১৫টি কারেন্ট জাল পায় মাঝিরা। আর ওইসব অবৈধ জাল হাছান,রুবেল,দুদু, বিক্রি করে দেয় পুনর্রায় আবার সেই জেলেদের কাছে। তবে সকল বিষয় অস্বিকার তারা বলেন, যা লেখার পত্রিকায় লিখেন। আমি আর কোস্টগার্ডে চাকরি করবো না। তিনি সংবাদ বন্ধ করার জন্য প্রতিবেদকে টাকা দিবে বলে অফার করেন।
একটি সূত্র জানায়, মাঝি রফিক ২০১৫ বা ২০১৬ সালে বিপুল পরিমান অবৈধ জাল নিয়ে প্রশাসনের হাতে আটক হয়। পরে নিজেকে বাঁচাতে সাংবাদিক ও প্রশাসনের কর্তাবাবুদের মেনেজ করে পাড় পেয়ে যায়।
এদিকে জেলেরা আরো জানায়,ঝাটকা ইলিশ ও মা ইলিশ মাছ ব্যবসায়ীদের সাথে মাঝিদের চুক্তি করা থাকে । মাছের আড়ৎ থেকে প্রতি বছরে ৩/৪ লাখ টাকা চাঁদা উঠায় বলে অভিযোগ রয়েছে। ঝাটকা ইলিশ ও মা ইলিশ পাচারে বেশ ভালো ভুমিকা রাখে মাঝি হাছান,রুবেল,দুদু, রফিক ।
আসছি আগামীকাল মাঝি হাছান,রুবেল,দুদু, রফিকসহ একাধীক সহযোগীদের আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য নিয়ে ।