26 C
Dhaka
জুলাই ৬, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অপরাধ জাতীয় বরিশাল

বরিশালের সন্তান ডিআইজি মিজানের বিপুল অবৈধ সম্পত্তির সন্ধান

অনলাইন ডেস্ক:

পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনুসন্ধান শেষে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।

ডিআইজি মিজান ছাড়াও তার এক ভাই ও ভাগ্নের নামে করা সম্পদসহ মোট ৪ কোটি ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়।

এদিকে রোববার বেসরকারি একটি টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান কর্মকর্তা পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ২৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। ওই পরিচালকের পরামর্শে বেনামে খোলা ব্যাংক হিসাবে ওই টাকা জমা রাখার কথা।

ডিআইজি মিজান ওই টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছেন, তিনি বাঁচার জন্য এই পন্থা অবলম্বন করেছেন। ওই টেলিভিশেনে দু’জনের মধ্যকার কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ডও প্রকাশ করা হয়।

তবে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির এ বিষয়ে বলেছেন, তাকে ফাঁসানোর জন্য জিআইজি মিজান চক্রান্ত করছেন। তিনি বলেন, মামলার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিলের পরই ডিআইজি মিজান একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন।

সূত্র জানায়, দুদকের পরিচালক ২৩ মে কমিশনে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশসহ অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে বলা হয়, ৪ কোটি ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকার সম্পদ ডিআইজি মিজানের দখলে রয়েছে ।

এর মধ্যে তার নিজের নামে ১ কোটি ১০ লাখ ৪২ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৯৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এ ছাড়া ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানের নামে তার নিজের সম্পদ রয়েছে ৯৫ লাখ ৯১ হাজার টাকার।

আর ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসানের নামে রয়েছে তার ১ কোটি টাকার সম্পদ। সব মিলিয়ে দলিল মূল্যে ডিআইজি মিজানের সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকার। এর মধ্যে তার আয় পাওয়া যায়- ২ কোটি ৯০ লাখ ৭৮ হাজার টাকার। আর ব্যয় পাওয়া যায়- ৮৫ লাখ ১২ হাজার টাকার। আয়-ব্যয় বাদ দিয়ে ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৯৭ লাখ ২১ হাজার টাকার।

তার এই আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারাসহ ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারায় মামলার সুপারিশ করে অনুসন্ধান কর্মকর্তা খন্দকার এনামুল বাছির।

তবে ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্নার বিরুদ্ধে এই সুপারিশে নাম অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে পৃথক অনুসন্ধান হচ্ছে বলে জানান অনুসন্ধান কর্মকর্তা।

ডিআইজি মিজানের স্ত্রীর বিরুদ্ধেও কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ রয়েছে। যদিও প্রথম পর্যারে অনুসন্ধানে তার স্ত্রীর নামে ৭২ লাখ ৯০ হাজার ৯৫২ টাকার অসংগতিপূর্ণ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ পায় দুদক। এই অংক দ্বিগুনের বেশি হতে পারে বলে ধারণা করছেন দুদক কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে ডিআইজি মিজানের সঙ্গে কথা বলতে তার মোবাইলে একাধিক ফোন কলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট

বরিশালে যুবলীগ কর্মীর তাণ্ডব: মা-মেয়েকে কুপিয়ে জখম

banglarmukh official

সাতলায় বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতা মিজানকে অর্থের বিনিময়ে দলীয় সনদপত্র প্রদান করার অভিযোগ

banglarmukh official

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা

banglarmukh official