ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা দাপট দেখিয়ে খেলছিলেন। ৪০তম ওভারে এসে জোড়া আঘাত হেনেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। টাইগার শিবিরে ফিরিয়েছেন স্বস্তি।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪৩ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৭৩ রান। শাই হোপ ৮৬ আর জেসন হোল্ডার ২৭ রানে অপরাজিত আছেন।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বোলিং উদ্বোধন করেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রথম ওভারে কোনো রান নিতে পারেননি ক্যারিবীয় দুই ওপেনার ক্রিস গেইল আর এভিন লুইস। মেডেন নেন মাশরাফি।
পরের ওভারে সাইফউদ্দীনও ২ রানের বেশি দেননি। তৃতীয় ওভারে এভিন লুইসের কাছে মাত্র একটি বাউন্ডারি হজম করেন মাশরাফি। তার পরের ওভারে দ্বিতীয় বলেই আঘাত সাইফউদ্দীনের।
অফসাইডে বেরিয়ে যাওয়া বল বুঝতে না পেরে একটু খোঁচা দিয়েছিলেন গেইল। উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহীম ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন। এ নিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে চার ম্যাচে দুবারই শূন্যতে আউট হলেন বিধ্বংসী এই ওপেনার।
৬ রান তুলতেই ভাঙলো উদ্বোধনী জুটি। কিছুটা বিপদেই পড়ে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে দ্বিতীয় উইকেটে ১১৬ রানের বড় জুটি গড়েন এভিন লুইস আর শাই হোপ।
থিতু হয়ে গিয়েছিল এই জুটিটা, চোখ রাঙানিও দিচ্ছিল। ২৫তম ওভারে এসে টাইগার শিবিরে স্বস্তি ফেরান সাকিব আল হাসান। তাকে তুলে মারতে গিয়েছিলেন লং অফে বদলি ফিল্ডার সাব্বির রহমানের ক্যাচ হন লুইস। ৬৭ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ক্যারিবীয় ওপেনার করেন ৭০ রান।
তৃতীয় উইকেটে নিকোলাস পুুরান আর সিমরন হেটমায়ারের ৩৭ রানের জুটিটিও ভাঙেন এই সাকিব। টাইগার স্পিনারের ঘূর্ণিতে ৩০ বলে ২৫ রান করে লং অনে সৌম্য সরকারের ক্যাচ হন পুরান। ১৫৯ রানে ৩ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা।
সেখান থেকে ৪৩ বলে ৮৩ রানের বিধ্বংসী এক জুটি হেটমায়ার-শাই হোপের। কোনো কিছুতেই কোনো কাজ হচ্ছিল না। ৪০তম ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানেন মোস্তাফিজুর রহমান, স্বস্তি ফেরান টাইগার শিবিরে।
মোস্তাফিজের ওভারের তৃতীয় বলটি মিডউইকেটে ভাসিয়ে দেন হেটমায়ার। ২৫ বলে ৫০ রানের টর্নোডো ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যান হন তামিম ইকবালের চোখে লাগার মতো এক ক্যাচ। এরপর ওভারের শেষ বলটিতে দুর্দান্ত এক ডেলিভারি দেন মোস্তাফিজ, আন্দ্রে রাসেলের (০) ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলটি উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহীমের গ্লাভসবন্দী করতে কষ্ট হয়নি। ২৪৩ রানে ৫ উইকেট পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের।