28 C
Dhaka
জুলাই ৭, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অপরাধ আন্তর্জাতিক জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমতি পেলেও প্রাণে বাঁচলেন না বাংলাদেশি আব্দুল্লাহ

দালালকে ২৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বিভিন্ন দেশ ঘুরে মেক্সিকো হয়ে দুর্গম পথে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে ৪ মাস ডিটেনশন সেন্টারে কষ্ট করতে হয়েছে। এত সংগ্রাম করার পর স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমতি মিললেও বাংলাদেশি যুবক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (২৯) স্বপ্নের আমেরিকায় বসতি গড়তে পারলেন না। নিউইয়র্কে মদ্যপ চালকের গাড়ি চাপায় ৯ জুন রবিবার রাত ১১টার দিকে ব্রুকলিনে তার মৃত্যু হয়েছে।

আব্দুল্লাহর নামাজে জানাযা বুধবার অপরাহ্নে ব্রুকলিনে অনুষ্ঠিত হয়। তাকে দাফন করা হবে নোয়াখালীর গ্রামের বাড়িতে।তার লাশবাহী কফিন ১৪ জুন সন্ধ্যায় জেএফকে ত্যাগ করেছে ঢাকার উদ্দেশ্যে।

নিউইয়র্কের পুলিশ জানায়, ট্রেজার লগিং (২২) নামের ওই নারী মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এ সময় তার চার বছর বয়সী ছেলে সঙ্গে ছিল। এক পর্যায়ে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আব্দুল্লাহ’র ই-সাইকেলকে চাপা দেন। ঘটনার পরপরই আব্দুল্লাহকে স্থানীয় ব্রুকডেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় চালক লিগিংসের বিরুদ্ধে হত্যা ও মদ্যপ অবস্থায় শিশুর জীবন বিপন্ন করে গাড়ি চালানোর অভিযোগ দাযের করা হয়েছে।
ম্যানহাটানের হারলেমে বসবাসকারী আব্দুল্লাহর চাচা বেলাল হোসেন জানান, নোয়াখালির বেগমগঞ্জের সন্তান আব্দুল্লাহ রাজনৈতিক কারণে ২০১৭ সালে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। সে সময় টেক্সাসের ডিটেনশন সেন্টারে কাটাতে হয় ৪ মাস। রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন আব্দুল্লাহ। ইতিমধ্যেই তা মঞ্জুর হয়েছে। শীঘ্রই গ্রিনকার্ডের আবেদন করার কথা ছিল। কিন্তু সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে।

ব্রুকলিনের ইস্ট নিউইয়র্কে একটি বাসায় চার বাংলাদেশি বন্ধুর সঙ্গে থাকতেন আব্দুল্লাহ। আব্দুল্লাহর রুমমেট আরিফুর রহমান সবুজ ও খোকন উল্ল্যাহ জানান, তারা নিজেদের অবস্থান জানতে অ্যাপস ব্যবহার করেন। রবিবার রাতে ওই অ্যাপে তারা দেখেন, আব্দুল্লাহ একটি স্থানে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবস্থান করছেন। এতে তারা চিন্তিত হয়ে পড়েন। এরপর তারা তাকে ফোন করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে তারা সেখানে চলে যান। সেখানে পুলিশ তাদের জানায়, আব্দুল্লাহ মারা গেছে।

আব্দুল্লাহ বন্ধুরা জানান, উবারের ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করছিলেন আব্দুল্লাহ। সর্বশেষ খাদ্য ডেলিভারির পরই মদ্যপ ড্রাইভারের নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি তার প্রাণ কেড়ে নিল। তার বন্ধুরা জানান, কষ্টার্জিত অর্থে নিউইয়র্কে একটি ফ্রাইড চিকেন রেস্টুরেন্ট দেয়ার স্বপ্ন ছিল আব্দুল্লাহর। তার চাচা ট্যাক্সি ড্রাইভার বেলাল হোসেন আরও জানান, আব্দুল্লাহ ছিলেন ৫ ভাই-বোনের সর্বকনিষ্ঠ। গোটা পরিবারের দায়িত্ব সে নিয়েছিল।

ড্রাইভারকে আটক করেছে পুলিশ এবং ৫০ হাজার ডলার বন্ডে জামিন দিয়েছে ব্রুকলীনের ক্রিমিনাল কোর্ট। ঘাতক ড্রাইভারের এটর্নী জামাল জনশন জানিয়েছেন যে, ড্রাইভিংয়ের সময় তার মক্কেল মদ্যপ ছিলেন। গাড়িটি তিনি ক্রয় করেন মাত্র ৩দিন আগে। গাড়ির ইঞ্জিন বেল্ট এবং ব্রেকে সমস্যা ছিল।

সম্পর্কিত পোস্ট

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা

banglarmukh official

শুক্রবার কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার নিশ্চিতের নির্দেশ

banglarmukh official

২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে

banglarmukh official

জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায়

banglarmukh official