28 C
Dhaka
জুলাই ৭, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জেলার সংবাদ

সুন্দরবন উপকূলের জেলেদের ঈদ আনন্দ মাটি

সুন্দরবন উপকূলের হাজার হাজার জেলে পরিবারের মাঝে এবারের ঈদে কোনো আমেজ নেই। সাগর এলাকায় মাছ ধরা বন্ধ থাকায় এসব জেলে পরিবারে ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। জেলেরা বলছেন, এবার সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারেননি, হাতে কোনো টাকা নেই। ধারদেনা করে কোনোরকমে চলতে হচ্ছে। এ অবস্থায় ঈদ উদযাপন তো দূরের কথা, পরিবার-পরিজন নিয়ে কী খাবেন সে চিন্তায় দিশেহারা তারা।

২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। সাগরে টানা ৬৫ দিনের মাছ ধরার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর থেকেই সুন্দরবন উপকূলের হাজার হাজার জেলে এখন বেকার সময় পার করছেন। সামনে ঈদ। তাদের হাতে টাকা নেই। এ কারণে তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝেও নেই কোনো ঈদের আনন্দ।

সাগরে মাছ ধরার ওপর জীবিকা নির্ভরশীল সুন্দরবন-সংলগ্ন মোংলা, রামপাল, শরণখোলা, দাকোপসহ আশপাশ এলাকার জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকার এবার সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার ফলে মৌসুমের শুরুতেই তারা মাছ আহরণ করতে যেতে পারছেন না। এ অবস্থায় রোজার মধ্যে তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক পরিবারে টাকার অভাবে ঠিকমতো ইফতার-সেহরি পর্যন্ত খেতে কষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় ঈদ উদযাপন তো দূরের কথা, সামনে কীভাবে সংসার চালাবেন তা নিয়ে হা-হুতাশ করছেন তারা।

মোংলার সুন্দরবন সংলগ্ন জয়মনিঘোলের বেশ কয়েকজন জেলে বলেন, মা ইলিশের ডিম ছাড়ার মৌসুমে ২১ দিন সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধের নির্দেশ মেনে নিয়েছি। জাটকা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য ছয় মাস ধরে ছোট ফাঁসের জাল দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করা হয়েছে, তাও মেনে নিয়েছি। এরপর ইলিশের ভরা মৌসুমে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকলে আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে কী দিয়ে ঈদ করব সে চিন্তায় দিশেহারা আমরা।

মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এম সাইফুল ইসলাম খোকন জানান, সরকারের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞায় সুন্দরবন অঞ্চলের হাজার হাজার জেলে বেকার হয়ে পড়ায় তাদের পরিবারে এবার ঈদ হবে না। এ ছাড়া ঋণের বোঝায় বিপুল সংখ্যক ফিশিংবোট মালিক দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ মৎস্য ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, বাংলাদেশের জলসীমায় ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দিলেও পাশের দেশ ভারতের জেলেদের কিন্তু সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে না।

এ ব্যাপারে মোংলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাহিদুজ্জামান বলেন, সরকার মাছের প্রজনন বৃদ্ধির জন্যই এ পদক্ষেপ নিয়েছে। নিষেধাজ্ঞার ৬৫ দিনে জেলেদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সময় বেকার জেলেদের পরিবারপ্রতি চাল বরাদ্দ দিয়ে সরকার সহায়তা করছে।

মোংলা উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান জানান, মৎস্য প্রজনন বৃদ্ধির জন্য সাগরে সরকার মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিলেও জেলেদের খাদ্য সহায়তার চাল বিতরণ শুরু করার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। মোংলা উপজেলায় সরকারিভাবে নিবন্ধিত ছয় হাজার ৬৬৫ জেলেকে ৪০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি

সম্পর্কিত পোস্ট

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মাগুরায় মামুনুল-হাসনাত-সারজিস

banglarmukh official

অটোরিকশায় ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ, ভিডিও ভাইরাল

banglarmukh official

বগুড়ায় স্কুলছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

banglarmukh official

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ হাইকোর্টের

banglarmukh official

বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার শিশু, ভগ্নিপতি ও শ্বশুর আটক

banglarmukh official