এপ্রিল ২৮, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
আবহাওয়া জাতীয় জেলার সংবাদ

আশ্রয়স্থল হারাল ৬ হাজার রোহিঙ্গা, পানিবাহিত রোগের আশঙ্কা

কক্সবাজারে টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হাজার হাজার শরণার্থীর আশ্রয়স্থল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সঙ্গে বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।

৪ জুলাই থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাতের কারণে গত বছরের তুলনায় বেশি দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম’র ন্যাশনাল কমিউনিকেশন অফিসার তারেক মাহমুদের পাঠানো এক তথ্য বিবরণীতে এসব জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, কক্সবাজারে টানা বর্ষণ ও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জরুরি সাহায্য প্রদান করেছে আইওএম। প্রায় ছয় হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয়হীন হয়েছে। তাদের বিভিন্ন সহায়তা দেয়া হয়েছে।

আইওএম বাংলাদেশ মিশনের উপ-প্রধান ম্যানুয়েল পেরেইরা বলেন, টানা বর্ষণ ও ঝোড়ো বাতাসে ক্যাম্পে অবর্ণনীয় দুর্দশা বাড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জরুরি সাহায্য প্রদান ও তাদের পুনরায় আশ্রয় দেয়ার জন্য দিন-রাত কাজ করছে আমাদের সবগুলো টিম। আমরা দুর্যোগের তাৎক্ষণিক ক্ষতি কাটানোর জন্য কাজ করছি। কিন্তু আমাদের অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আইওএম গত দুইদিনে প্রায় ছয় হাজার রোহিঙ্গাকে জরুরি সাহায্য প্রদান করেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৭০ মানুষকে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি এই অঞ্চলের মানুষকে বেশি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

আইওএম’র হিসাব মতে, গত ৪৮ ঘণ্টায় আইওএমের ক্যাম্পে থাকা টিমগুলো ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রায় ৫ হাজার ৭৯টি প্লাস্টিক ট্রিপল বিতরণ করেছে। কুতুপালং মেগাক্যাম্প এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আইওএম এবং এর সহযোগী সংস্থাগুলো চলমান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রয়োজনমতো তাৎক্ষণিক সাহায্য করছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। ফলে ক্যাম্প ও আশেপাশের এলাকায় রাস্তাঘাট, সেতু এবং নালা-নর্দমার অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।

আইএসসিজি বলছে, মৌসুমী দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে এ বছর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২০১৮ সালের রেকর্ড ছাড়াতে পারে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০১৮ সালের মৌসুমে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৫ হাজার। ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে প্রায় ৫ হাজার ৬০০ শরণার্থী গৃহহীন হয়েছে অথচ ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ছয় হাজার ২০০। এ বছর জুলাইয়ের প্রথম ১০ দিনে প্রায় ২২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৮ সালে গোটা জুলাই মাসে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে ১৯ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

সম্পর্কিত পোস্ট

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা

banglarmukh official

শুক্রবার কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার নিশ্চিতের নির্দেশ

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে

banglarmukh official