রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের এজেন্টদের অগ্রিম তালিকা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রার্থীর এজেন্টদের হয়রানি বন্ধে এই তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ইসি এই তিন সিটিতে ওয়ারেন্ট ছাড়া নির্বাচনী এলাকায় কাউকে গ্রেপ্তার না করতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেবে।
রবিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনানেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রার্থীর এজেন্টদের হয়রানি বন্ধ করতে তাদের নামের তালিকা আগেই নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে বলা হয়েছে। যাতে আমরা দেখতে পারি ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে কি না।
এর আগে গাজীপুর সিটিতে ভোটের একদিন আগে ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার না করার জন্য সেখানকার পুলিশ সুপারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল ইসি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও আমরা এমন নির্দেশনা দিয়েছিলাম। রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষেও ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে যেন গ্রেপ্তার না করা হয়, সেই নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। ওয়ারেন্ট থাকলে সেটা ভিন্ন বিষয়।’
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ জুলাই সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটিতে ভোটগ্রহণ করা হবে। গত ১৫ মে খুলনা ও ২৬ জুন গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়। এই দুই সিটিতে তফসিল ঘোষণার পর নেতাকর্মী ও প্রার্থীর এজেন্টদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির অভিযোগ করে বিএনপি। গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ফল বাতিল করে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে অনিয়মের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট। অব্যাহত সমালোচনার মুখে নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। গাজীপুরে অনিয়মের ঘটনা তদন্তে একজন নির্বাচন কমিশনারকে দায়িত্ব দেন সিইসি কেএম নূরুল হুদা। আগামী তিন সিটিতে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।