বিটিভির খবর পাঠকদের বয়স নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, একজন সদস্য বলেছেন, বিটিভিতে বয়স্ক মহিলাদের দিয়ে খবর পড়ানো হয়। তাহলে কি সুন্দর তরুণীদের দিয়ে শুধু খবর পড়ানো হবে? চেহারা কি মানুষের সমস্ত গুণাগুণের মূল বিষয়? যে খবর পড়ার জন্য চেহারাই সুন্দর হতে হবে? এটিই কি মুখ্য বিষয়?
আজ বৃহস্পতিবার রাতে সংসদে জাতীয় পার্টির (জাপা) সাংসদ মজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চেহারা বয়স নিয়ে প্রশ্ন তোলা কতটুক সমীচীন। আমি একই কথাগুলো সংসদীয় প্রসিডিং থেকে এক্সপান্স করার অনুরোধ করছি।
তিনি আরো বলেন, বিটিভির মান উন্নয়নে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ছয়টি বিভাগীয় শহরে নতুন টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চলচ্চিত্র বিকাশে ভারতসহ অন্যান্য দেশের চলচ্চিত্র আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। চলচ্চিত্র উন্নয়নের জন্য অনেক প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গাজীপুরে ১০০ একর জায়গার উপর বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি স্থাপন করা হবে। সেটি বিশ্বমানের ফিল্ম সিটিতে উন্নীত করব।
সরকারের মেয়াদে গত দশ বছরে গণমাধ্যমের চিত্র তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। অনেক উন্নত দেশেও সেটি হয়নি। দশ বছর আগে বাংলাদেশে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল সাড়ে ৭০০, এখন দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা এক হাজার ৩০০। দশ বছর আগে টিভি চ্যানেলের সংখ্যা ছিল ১০টি, আজকে ৩৪টি সম্প্রচারে আছে, ৪৫টির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অনলাইন মিডিয়া হাতে গোনা কয়েকটি ছিল। এপর্যন্ত আট হাজারের বেশি অনলাইন পত্রিকার দরখাস্ত জমা পড়েছে।
সিনেমা হল বন্ধ প্রসঙ্গে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, হলগুলো বন্ধ হচ্ছে এটা শুধু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নয় এটা সমগ্র বিশ্বব্যাপী হচ্ছে, ভারতেও অনেক সিনেমা হল বন্ধ হয়েছে। আকাশ সংস্কৃতির কারণে তাছাড়া নিউ মিডিয়ায় ছবিগুলো চলে আসায় সিনেমা হল বন্ধ হচ্ছে। সমগ্র পৃথিবীতে হল সিনেমা হলগুলো সংকুচিত হচ্ছে। ভারতের মতো আমাদের দেশেও অনেক সিনেমা হল বন্ধ হয়েছিল। যদিও সিনেমা হলগুলো আবার চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যারা সিনেমা হল আধুনিকায়ন করতে চান বা বন্ধ সিনেমা হল চালু করতে চান তাদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হবে। এটি হলে কয়েক বছরের মধ্যে সিনেমা হলের সংখ্যা বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পাস হওয়া বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ৬ এর ১ উপ-ধারা দফা (ড) এর পরিবর্তে নতুন (ড) দফা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। নতুন দফায় ইনস্টিটিউটের গভর্নিং বডিতে একজন শিক্ষক ও একজন চলচ্চিত্র নির্মাতাসহ অনূন্য ৪ থেকে ৬ জন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বরেণ্য ব্যক্তিত্বকে অন্তর্ভুক্ত করার বিধান করা হয়। বিলে গভর্নিং বোর্ডের সদস্যদের মেয়াদ ৩ বছরের পরিবর্তে ২ বছর করা করা হয়। এছাড়া বিলে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্র আরো বিস্তৃত করার বিধান করা হয়েছে।