‘সরল বিশ্বাসে দুর্নীতি’ নিয়ে সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে দুর্নীতি শব্দই উচ্চারণ করেননি বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘সেদিন এক প্রশ্নের জবাবে আমার উত্তর ছিল খুবই সহজ। সেখানে দুর্নীতির কোনো শব্দ আমি উচ্চারণ করিনি। এই শব্দ কিভাবে আসল তা আমার জানা নেই। ভিডিও ক্লিপ সবার কাছেই আছে। এ বিষয়ে আর কোনো ব্যাখ্যা দিতে চাইনা।’
শনিবার (২০ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘দুর্নীতি দমনে আইনজীবি ও বিচার বিভাগের ভূমিকা’ শীর্ষক এ সেমিনারে এ কথা তিনি।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার কথা যে যেভাবে ব্যাখ্যা করেন, তাতে আমি কোনোকিছু কর্ণপাত করি না। আমার হারানোর কিছু নেই আমি এখন একটা দায়িত্ব পালন করছি।’
প্রায় সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি আছে স্বীকার করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘স্বীকার করতে সমস্যা নাই, এমন কোনো নথি নাই যেগুলোর মধ্যে কিছু না কিছু সমস্যা নাই। কেউ আমাদের আইন মানছে না, টাইম টেবিল মানছে না। আমাদের আস্থার সংকট রয়েছে এতে কোনো সন্দেহ নাই।’
ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমার দুইটা দৌড়, সরকারের কাছে মেসেজ পৌঁছে দেওয়া, অন্যটি বিচার বিভাগের কাছে সোপর্দ করা। আমাদের ধরা বা মামলা ৬০ থেকে ৭০ পার্সেন্টই চুনোপুটি অর্থাৎ ছোট। চুনোপুটি ধরা যতটা সোজা বটগাছ ধরা ততটাই কঠিন। তার মানে আমরা রুই কাতলা ও বড় দুর্নীতিবাজদের ধরবো না তা নয়। মানি লন্ডারিংয়ের ২শটি মামলার মধ্যে ২২টি শেষ হয়েছে। এই ২২টিরই সাজা হয়েছে।
দুদকের অনেক আইনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, তবে একটি বার্তা দেওয়া সম্ভব হয়েছে যে দুর্নীতি করলে কিছু না কিছু হতে পারে, হবে।