27 C
Dhaka
জুলাই ৭, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
ইসলাম জেলার সংবাদ বরিশাল

বরিশালের গরুতে পূরণ হবে না কোরবানির পশুর চাহিদা, ২০ শতাংশ ঘাটতি

দিন যতো যাচ্ছে কোরবানির ঈদের সময় ততো ঘনিয়ে আসছে। তাই কোরবানির পশু ঘিরে খামারি থেকে শুরু করে বেপারি পর্যন্ত চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। পর্যাপ্ত পশুর যোগান নিশ্চিত করতে এরইমধ্যে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

তবে হিসেব অনুযায়ী, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় কোরবানির জন্য যে পশুর প্রয়োজন, তার ২০ শতাংশের মতো যোগান দিতে হবে পার্শ্ববর্তী বিভাগ ও জেলা থেকে। পাশাপাশি বাজারে দেশীয় ও স্থানীয় গরুর একক আধিপত্য থাকলে খামারিরা লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় চার লাখ ৮০ হাজার ৩৬৫টি পশু কোরবানি হয়েছিল। এর মধ্যে গাভী বা বকনা গরুর সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৮২৭টি, ষাঁড় বা বলদ গরুর সংখ্যা ছিল তিন লাখ ১৫ হাজার ২৪২টি, মহিষ ছিল ৭৮৩টি, ছাগল ছিল এক লাখ ৩২ হাজার ১৬৩টি ও ভেড়া ছিল দুই হাজার ৩৩৬টি।

গতবছর কোরবানি দেওয়া মোট পশুর সঙ্গে দুই থেকে তিন শতাংশ চাহিদা এবার বাড়বে বলে দাবি প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের। সে হিসেবে বরিশাল বিভাগে এবারের কোরবানিতে প্রায় চার লাখ বা চার লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি পশুর চাহিদা রয়েছে। তবে এ বিভাগে ১৫ হাজার ১৪৪ জন খামারির কাছ থেকে এখন পর্যন্ত গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া মিলিয়ে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৯০ হাজার পশুর হিসেব পাওয়া গেছে
যদিও এখন পর্যন্ত সব খামারি ও গৃহস্থালির গরুর হিসেবে চূড়ান্তভাবে উঠে আসেনি। তবে গত বছর শুধু স্থানীয় খামারিরা দেড় লাখের উপরে গরুর যোগান দিয়েছিলেন বলে দাবি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের।

বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল আলম বলেন, গত বছর খামারি ও গৃহস্থালির পশুর মাধ্যমে ৮০ শতাংশ কোরবানির যোগান দেওয়া হয়েছিল। বাকি ২০ শতাংশ পশু যশোর, ঝিনাইদহ, বগুড়া, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট থেকে সরবরাহ করা হয়েছিল। বিগত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এবার গত বছরের চেয়ে দুই থেকে তিন শতাংশ পশুর চাহিদা বাড়তে পারে। সে হিসেবে খামারি ও গৃহস্থালির পশুর পর এবারও পার্শ্ববর্তী বিভাগ ও জেলাগুলো থেকে ২০ শতাংশ পশু সংগ্রহ করার প্রয়োজন পড়তে পারে।

বরিশালে উত্তরবঙ্গের মতো বৃহৎ আকারে পশু বিশেষ করে গরু পালন না হলেও এখানে খামারির সংখ্যা কম নয়। প্রাকৃতিক ও নিরাপদ পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করছেন খামারিরা। যার প্রতিনিয়ত দেখভাল ও খোঁজখবর নিচ্ছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। যদি ভারতীয় গরু না আসে এবং স্থানীয় গরুর দখলে বাজার থাকে, তবে এ এলাকার কৃষক বা খামারিরা লাভবান হবেন।
এসময় তিনি এও বলেন, গোটা দেশে যে পরিমাণ পশু রয়েছে, তাতে কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব।

সম্পর্কিত পোস্ট

বরিশালে যুবলীগ কর্মীর তাণ্ডব: মা-মেয়েকে কুপিয়ে জখম

banglarmukh official

সাতলায় বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতা মিজানকে অর্থের বিনিময়ে দলীয় সনদপত্র প্রদান করার অভিযোগ

banglarmukh official

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মাগুরায় মামুনুল-হাসনাত-সারজিস

banglarmukh official