29 C
Dhaka
এপ্রিল ৩০, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
ইসলাম ধর্ম

জমজমের পানি যে সময় পান করতে বলেছেন বিশ্বনবি

হজ ও ওমরার ফজিলত ও বরকতপূর্ণ কাজের মধ্যে একটি হলো জমজমের পানি পান করা। এ পানি পানে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত ও বরকত। এ পানি পানের বিশেষ একটি মুহূর্তের ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হজ ও ওমরা পালনকারীদের জন্য যে সময়টিতে এ পানি পান করা বরকতময়।

হজ ও ওমরা পালনকারীরা যখন পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ সম্পন্ন করবে তখন তারা মাকামে ইবরাহিমে ২ রাকাআত নামাজ পড়বে। তার পরই পান করবে জমেজমের এ বরকতময় পানি। হাদিসে এসেছে-

>> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তাওয়াফ শেষে ২ রাকাআত নামাজ আদায় করে মাতআফ (তাওয়াফের স্থান) থেকে বেরিয়ে পাশেই জমজম কুপ এলাকায় প্রবেশ করবে এবং সেখানে বিসমিল্লাহ বলে দাঁড়িয়ে জমজমের পানি পান করবে। আর (হাতের কোষে নিয়ে) কিছু পানি মাথায় দেবে।’ (বুখারি-মুসলিম, মিশকাত ও মুসনাদে আহমদ)

>> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ভূপৃষ্ঠের মধ্যে সেরা পানি হলো- জমজমের পানি। এর মধ্যে রয়েছে পুষ্টিকর খাদ্য (উপাদান) এবং রোগ হতে আরোগ্য (লাভের উপাদান)।’ (তাবারানি)

>> অন্য হাদিসে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয় এটি বরকতময় (পানি)।’ মুসনাদে আহমাদ, মুসলিম)

জমজমের পানি পানে যে কোনো রোগ থেকে আরোগ্য লাভের ব্যাপারে ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘এই পানি কোনো রোগ থেকে আরোগ্য লাভের উদ্দেশ্যে পান করলে তোমাকে আল্লাহ আরোগ দান করবেন।’ (দারাকুতনি, মুসতাদরেকে হাকেম, তারগিব)

জমজমের পানি সাধারণ কোনো পানি নয়, এটার হলো মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ থেকে সৃষ্ট এক অলৌকিক কুয়া। যা তিনি শিশু ইসমাইল আলাইহিস সালামের পদতলে পদাঘাতের ফলে দান করেছেন।

জমজম কুপের সৃষ্টি উদ্দেশ্য তুলে ধরে হাদিসে এসেছে-
‘মূলতঃ জমজম হলো আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে সৃষ্ট এক অলৌকিক কুপ। যা (এ কুপের পানির বরকতেই ফলমূল, জন-মানবহীন স্থানে) শিশু ইসমাইল ও তার মা হাজেরা জীবন রক্ষায় (মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এক মহা অনুসঙ্গ) এবং পরবর্তীতে মক্কার আবাদ ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের স্থান হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই সৃষ্টি হয়েছে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

দুনিয়ার বুকে জমজমের পানি অনেক বরকতময়। যে পানি পান করে দুনিয়ার অসংখ্য মানুষ লাভ করে শান্তি, শারীরিক সক্ষমতা ও বরকত।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব মক্কা ও মদিনা জিয়ারতকারীকে জমজমের পানি পানের মাধ্যমে হাদিসে ঘোষিত বরকত লাভের তাওফিক দান করুন। শারীরিক সব অসুস্থতা থেকে সুস্থতা দান করুন। আমিন।

সম্পর্কিত পোস্ট

রোজা রেখে আতর-পারফিউম ব্যবহার করা যাবে?

banglarmukh official

গর্ভবতী নারীর রোজার মাসয়ালা

banglarmukh official

তারাবির নামাজ ছুটে গেলে করণীয়

banglarmukh official

রোজা অবস্থায় কি দাঁত ব্রাশ করা যাবে?

banglarmukh official

চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে রোজা শুরু শনিবার

banglarmukh official

শাবান মাসে কত তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা যাবে

banglarmukh official