আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ তীব্র তাপদাহে পুড়ছে ইউরোপ। পশ্চিম ইউরোপ থেকে এই তাপদাহ উত্তর ইউরোপের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
দাবানল ছড়িয়েছে ফ্রান্স, পর্তুগাল, স্পেন, গ্রিস, ক্রোয়েশিয়াতে। পর্তুগাল ও স্পেনে সাম্প্রতিক সময়ের দাবানলে ১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন দমকলকর্মীরা। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেনে গতকাল সোমবার সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) যুক্তরাজ্যে তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়াতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ফ্রান্সে এরই মধ্যে তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ফ্রান্সের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেশটির পশ্চিমের শহর নান্তেসে সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে সোমবার (১৮ জুলাই) পূর্ব ইংল্যান্ডের সাফোকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ইংল্যান্ডে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াতে পারে। লন্ডনে যাত্রীদের প্রয়োজনীয় ভ্রমণ ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন।
সোমবার (১৮ জুলাই) নেদারল্যান্ডসে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দেশটিতে তাপমাত্রা পৌঁছাতে পারে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সামনের দিনগুলোতে জার্মানি ও বেলজিয়ামে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) পর্তুগালের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের পাঁচটি এলাকায় ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা জুলাই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আবহাওয়ার এমন বিরূপ পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিবিসি বলছে, শিল্প বিল্পবের পর থেকে বিশ্বের তাপমাত্রা এক দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।
সূত্র: বিবিসি