বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নতুন কার্যনির্বহী কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক আঙ্গিনায় দৌঁড়-ঝাপ করছিলেন প্রথমবারের মতো এশিয়ান হকি চ্যাম্পিয়নন্স ট্রফির আয়োজক হতে।
মে মাসের মাঝামাঝিতে হকি ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুর রশিদ শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক সাঈদ মালয়েশিয়া গিয়ে পরবর্তী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক হওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়ে এসেছিলেন।
এশিয়ান হকি ফেডারেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা তৈয়ব ইকরাম মৌখিকভাবে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছিলেন।
আজ (শনিবার) এশিয়ান হকি ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের দুই সহ-সভাপতি আবদুর রশিদ শিকদার ও সাজেদ এ এ আদেল এশিয়ান হকি ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটিরও সদস্য। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের এ দুই কর্মকর্তা।
‘বাংলাদেশ হকির জন্য দারুণ খবর। আমরা পরবর্তী এশিয়ান হকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং জুনিয়র এশিয়া কাপের আয়োজক হয়েছি’-সভা শেষে মালয়েশিয়া থেকে বলছিলেন আবদুর রশিদ শিকদার। আগামী আগস্টের মধ্যে এই দুটি টুর্নামেন্ট নিয়ে এশিয়ান হকি ফেডারেশন ও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি হবে।
বাংলাদেশের জন্য এশিয়ান হকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক হওয়া সহজ ছিল না। কারণ, ভারত ও ওমান ছিল আরো দুই প্রতিদ্বন্দ্বি। তবে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুর রশিদ শিকদারের সঙ্গে এশিয়ান হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের সুসম্পর্কটা কাজ দিয়েছে এই আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে।
আগামী বছরের গোড়ার দিকে হবে এই টুর্নামেন্ট। তিন তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। আবদুর রশিদ শিকদার বলেছেন, ‘যেহেতু আগামী বছর অলিম্পিক গেমস আছে। তাই গেমস হকির প্রস্তুতি হিসেবে এই টুর্নামেন্ট কাজে লাগাবে এশিয়ার জায়ান্টরা।
আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশও খেলবে এশিয়ার অন্যতম বড় ও মর্যাদার টুর্নামেন্ট। দুইবার এশিয়া কাপ আয়োজনের পর এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই হবে ঢাকায় তৃতীয় বড় মর্যাদার কোনো হকি টুর্নামেন্ট।
জুনিয়র (অনূর্ধ্ব-২১) এশিয়া কাপও বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আয়োজক হওয়ায় এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের ফাইনাল পর্যন্ত ওঠার সম্ভাবনাও থাকবে। আর ফাইনালে উঠতে পারলে সুযোগ পাবে পরের জুনিয়র ওয়ার্ল্ড কাপে খেলার।