ভারত শাসিত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের বিষয়ে ‘স্বচ্ছ নীতি’ মেনে চলতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সাইয়্যেদ আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও মন্ত্রিসভার সঙ্গে বুধবার এক বৈঠকে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি এ আহ্বান জানান।
আলি খামেনি বলেন, ‘আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলি। কিন্তু কাশ্মীরিদের প্রতি ভারতীয় সরকার স্বচ্ছ নীতি মেনে চলবে সেটা আশা করি, যাতে ওই অঞ্চলের মুসলিম জনগণ চাপে না পড়ে।’
প্রেস টিভি তাদের অনলাইন প্রতিবেদনে জানায়, কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি এবং এনিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের জন্য ব্রিটেনের ‘বিদ্বেষপরায়ণ পদক্ষেপকে’ দায়ী করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।
তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরের দীর্ঘমেয়াদি এই সংকটের নেপথ্যে রয়েছে এই অঞ্চলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া ক্ষত।’
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও ৩৫এ প্রত্যাহার করে কাশ্মীরের সাংবিধানিক স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ সুবিধা কেড়ে নেয় বিজেপি সরকার। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ নামে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়।
এ ঘটনাকে ঘিরে গত ৪ আগস্ট থেকে নজিরবিহীন কারফিউতে অবরুদ্ধ জম্মু-কাশ্মীর। সেখানকার প্রায় সবক’টি রাজনৈতিক দলের নেতারা হয় গৃহবন্দি নয়তো কারাগারে। ফোন, ইন্টারনেট এবং সংবাদপত্র পরিষেবা বন্ধ থাকায় কাশ্মীর কার্যত বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে।