27 C
Dhaka
জুলাই ১৩, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জাতীয় প্রচ্ছদ

রাশেদের মায়ের আকুতি আমার বাবারে মুক্তি দিন

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খানের মা সালেহা বেগম তাঁর ছেলেকে ফেরত পাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার বাবার মুক্তি চাই। আমার বাবা রাশেদকে ফিরিয়ে দিন। সে সাধারণ ছাত্র। কত কষ্ট করে আমার বাবাকে মানুষ করেছি, তাকে মুক্তি দিন। তার জন্য পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি।’

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ শুক্রবার বিকেলে এক মানববন্ধনে এভাবেই আকুতি জানাচ্ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের গ্রেপ্তারকৃত নেতা রাশেদের মা। কোটা আন্দোলন করতে গিয়ে আটক ছাত্রদের মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আকুতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি তো মা; প্রধানমন্ত্রী, আপনি তো মায়ের জ্বালা বোঝেন। আপনার কাছে আবেদন, আমার বাবাদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে দিন। আমার বাবারা তো কোনো রাজনীতি করে নাই, তারা তো কোনো অপরাধ করেনি। তারা শুধু চাকরির জন্য গেছিল। জেলে আটক সব বাবাদের মুক্তি দিন।’

মানববন্ধনে রাশেদের বাবা মো. নবাই বিশ্বাস বলেন, ‘আমি আমার ছেলের মুক্তির দাবি করছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করছি, তার পড়াশোনাটা আবার আগের মতো স্বাভাবিক করে দেওয়া হোক। এর বেশি আমি কিছু বলতে পারছি না।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে গত ১ জুলাই রাজধানীর ভাষানটেক থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন আদালত রাশেদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের আটক ছাত্রদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজকের এই মানববন্ধন করে যুব ঐক্য প্রক্রিয়া। যুব ঐক্য প্রক্রিয়া জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার একটি সহযোগী সংগঠন। এক ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের আটক নেতাদের মা-বাবারা বক্তব্য দেন। তাঁরা সন্তানের মুক্তির দাবি জানান। অভিভাবকেরা বলেন, তাঁদের সন্তানেরা কোনো অন্যায় করেননি। তাঁদের সন্তানেরা কোটা সংস্কার চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের আটক করে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে।

মানববন্ধনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা মশিউর রহমানের বাবা মজিবুর রহমান বলেন, ‘কী দোষ করেছিল আমাদের ছেলেরা? তাদের এভাবে কেন রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে, কারাগারে পাঠানো হচ্ছে? আমাদের খোঁজ নিয়ে দেখেন। আমি একজন রিকশাওয়ালা। আমার ছেলে কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়।’

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্যসচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন বলেন, কোটা সংস্কারের দাবি ছাত্ররা তুলবেনই। এটা তাঁদের ন্যায্য অধিকার। কিন্তু ছাত্রদের ওপর নির্যাতন, গুম করা হচ্ছে কেন? ছাত্রদের কেন রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হবে? দেশের সর্বস্তরে অব্যবস্থা। এটা চলতে দেওয়া যায় না। ঐক্যবদ্ধ হলে দেশের দুঃশাসন, দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা

banglarmukh official

শুক্রবার কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার নিশ্চিতের নির্দেশ

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে

banglarmukh official