29 C
Dhaka
জুলাই ৫, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জাতীয় রাজণীতি

শোভন-রাব্বানীর পদ হারানো যেভাবে দেখছে বিএনপি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতৃত্বকে সরিয়ে দেয়ায় প্রমাণ হয় তারা দুর্নীতি করেছে। এটাই প্রমাণ করেছে দেশে কী হারে দুর্নীতি চলছে, চাঁদাবাজি ….। এটাতে শুধু একটা প্রকাশ পেয়েছে যে, এটাতে একটি সংগঠনের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি জড়িত, তাদের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বহিষ্কার করতে হয়েছে। এরকম সারাদেশে অনেক চলছে।

তিনি বলেন, ‘এটা প্রমাণ করে দুর্নীতি কোন পর্যায়ে চলে গেছে। এটা (বহিষ্কার) হচ্ছে স্বীকৃতি, রিকগনেশন। এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে, তারা দুর্নীতি করছে।’

আজ (রোববার) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এই বহিষ্কারকে আপনি কিভাবে দেখছেন প্রশ্ন করা হলে ফখরুল বলেন, এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে, তাদের দল দুর্নীতি করছে এবং সবাই মিলে দুর্নীতি করছে। এটা তো রিকগনেশন অব করাপশন।

ছাত্র দলের কাউন্সিল প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আইন দিয়ে তো রাজনীতি হয় না। আমি সেদিনও বলেছি, যে এভাবে রাজনীতিকে আদালত দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা…এখানেই আমাদের আপত্তি। এটা নজিরবিহীন ঘটনা যে, একটা রাজনৈতিক দলের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে আদালত এবং সেটা সরকারের উদ্যোগে, তারাই করাচ্ছে।”

তিনি বলেন, এটাতে প্রমাণিত হয় যে, এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, বিরোধী দলে বিশ্বাস করে না। এটাই বাস্তবতা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ বলেন, দেশে দুই আইন চলছে। সরকারি দল হলে একরকমের আইন আবার বিরোধী দল হলে আরেক ধরনের আইন। যেমন- আমরা পরিষ্কার দেখেছি যে, ১/১১ তে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ২১টি মামলা ছিল, একটি মামলাও এখন নাই। কোনোটা বাতিল, কোনোটা চার্জশিট থেকে বাতিল ইত্যাদি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ট্রায়ালও ফেস করতে হয় না।

তিনি বলেন, একই ধরনের মামলায় বিএনপির নেতৃবৃন্দ অভিযুক্ত ছিল, তারা কিন্তু এখনও বিচারের সম্মুখীন হচ্ছেন। আজকে আমাদের নেত্রীকে বিচার করে বানোয়াট মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। তাকে জামিনও দেয়া হচ্ছে না। বিএনপি হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, একটি নিম্ন আদালত রায় দিচ্ছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ হস্তক্ষেপ করতে পারছে। এটার সম্বন্ধে বিচারটা কে করবে? যেহেতু সরকার পুরো বিচার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছে, সরকার যেভাবে চাচ্ছে সেভাবে হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা

banglarmukh official

শুক্রবার কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার নিশ্চিতের নির্দেশ

banglarmukh official

২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে

banglarmukh official