এপ্রিল ৩০, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
আন্তর্জাতিক জাতীয়

আমরা বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানাই: মাহাথির

মিয়ানমারে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানালেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ।

মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দফতরে ওআইসি এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন কর্তৃক আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট: উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এবারের অধিবেশনে এটিই মাহাথিরের প্রথম ভাষণ।

ড. মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, এই নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গারা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। যাদের অধিকাংশ আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশের কক্সবাজারে। সেখানে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। যার জন্য আমরা বাংলাদেশটি সাধুবাদ জানাই। মালয়েশিয়াও যতটুকু সম্ভব করার চেষ্টা করেছে।

মালয়েশিয়া এক লাখ নিবন্ধিত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে জানিয়ে মাহাথির বলেন, মালয়েশিয়ায় অনিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা আরও বেশি। তবে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের তুলনায় এ সংখ্যা একেবারেই কম।

মাহাথির বলেন, মিয়ানমার বলছে, সন্ত্রাসী হুমকি মোকাবিলায় তারা রাখাইনে অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সেখানে যা ঘটেছে তা গণহত্যা। আসুন আমরা কোদালকে কোদাল বলতে শিখি।

সভায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন সোজাসাপ্টা কথা বলি। রাখাইনে অসংখ্য মানুষ অবর্ণনীয় নৃশংসতার শিকার হয়েছে। সেখানে গণহত্যা, পদ্ধতিগত ধর্ষণসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন, শরণার্থীরা যত দিন শিবিরে থাকবে ততই তারা আরও হতাশ ও মরিয়া হয়ে উঠবে। এ ধরনের ক্ষেত্রে যা হয়, সেটি হচ্ছে শরণার্থীরা অন্য ধরনের শোষণের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। তারা মানবপাচার এবং যৌন দাসত্বের মতো ঘটনার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। তারা কেবল সামনে একটি হিমশীতল ভবিষ্যৎ দেখতে পায়।

মিয়ানমারে পরিস্থিতি মোটেও ভালো না উল্লেখ করে মাহাথির বলেন, রাখাইনে রয়ে যাওয়া রোহিঙ্গারা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত। তাদের স্থান হয়েছে অভ্যন্তরীণ ক্যাম্পে। বিশ্ব এসব কুখ্যাত বন্দিশিবির সম্পর্কে জানতে পারলে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করে। তারা সেখানে জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও মানবাধিকার কর্মীদের প্রবেশ করতে দেয়নি।

মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, যদি মিয়ানমারের লুকানোর কিছু না থাকে, তবে সেখানকার পরিস্থিতি দেখাতে এত বাধা কেন? জাতিসংঘ প্র্রতিনিধিসহ সাহায্যকারী কর্মীদের সেখানে পরিদর্শন ও সেখানকার ক্যাম্পে যারা আছে তাদের সহায়তার সুযোগ দিক।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ব্যর্থ হওয়ার জন্য মিয়ানমারকে দায়ী করে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের উচিত এ সংকট সমাধান করা। প্রত্যাবর্তন প্রথমেই প্রাধান্য পাওয়া উচিত। এর আগে রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার দু’টি প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা

banglarmukh official

শুক্রবার কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার নিশ্চিতের নির্দেশ

banglarmukh official

২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে

banglarmukh official

জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায়

banglarmukh official