30 C
Dhaka
জুলাই ৩, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জেলার সংবাদ প্রশাসন বরিশাল

বরগুনার পুলিশ বলছে মিন্নির নাম চার কারণে অভিযোগপত্রে

অনলাইন ডেস্ক:

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তাঁর স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকার বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ এনেছে পুলিশ। এই চার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁকে প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি করা হয়েছে।

জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, অভিযোগপত্রে চারটি অভিযোগ এনে আয়শাকে মামলার ৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ চারটি হলো রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে সহায়তা ও হত্যার পরিকল্পনা করা, হত্যায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়া, এই মামলায় গ্রেপ্তার অপর চার আসামির জবানবন্দিতে আয়শার নাম উল্লেখ করা এবং হত্যার আগে ও পরে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ডের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা বলা।

আয়শার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির আজ সোমবার  বলেন, ‘আয়শার আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তি এবং হত্যাকাণ্ডে সহায়তা, পরিকল্পনাসহ সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়ায় আয়শাকে মামলার ৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে। আমরা নিরবচ্ছিন্ন ও গভীর তদন্তের পর রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেছি।’

গতকাল রোববার আয়শাসহ ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। তবে আদালত এই অভিযোগপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেননি। বরগুনা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের জেনারেল রেজিস্ট্রার (জিআরও) মো. হান্নান বলেন, মামলার মূল নথি জামিন শুনানির জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে থাকায় অভিযোগপত্র উপনথিতে শামিল রাখা হয়েছে। মূল নথি নিম্ন আদালতে আসার পর অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করা হবে।

তবে আয়শার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার। আয়শার বাবা মোজাম্মেল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে পুলিশ আয়শাকে এই মামলায় আসামি করেছে। যাঁরা বরগুনা ও ঢাকায় গিয়ে আমার মেয়ের জামিনের বিরোধিতা করেছেন, তাঁদের ষড়যন্ত্রে আয়শাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। সবাই দেখেছে আমার মেয়ে তাঁর স্বামীকে বাঁচাতে কীভাবে চেষ্টা করেছে। কারা রিফাতকে হত্যা করেছে সেটি স্পষ্ট। সব প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে আয়শাকে আসামি করেছে।’

জেলা পুলিশের সূত্রটি জানায়, রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ২৭ জুন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম বাদী হয়ে বরগুনা থানায় যে মামলা করেন, তাতে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগপত্রে ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে থাকা ২৪ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২৪ আসামির মধ্যে ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক, বাকি ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক। এ কারণে দুটি আলাদা অভিযোগপত্র তৈরি করা হয়েছে।

২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে তাঁর স্ত্রী আয়শার সামনে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। এরপর তাঁকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর ওই দিন বিকেলে মারা যান রিফাত শরীফ। পরদিন ২৭ জুন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

সম্পর্কিত পোস্ট

বরিশালে যুবলীগ কর্মীর তাণ্ডব: মা-মেয়েকে কুপিয়ে জখম

banglarmukh official

সাতলায় বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতা মিজানকে অর্থের বিনিময়ে দলীয় সনদপত্র প্রদান করার অভিযোগ

banglarmukh official

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মাগুরায় মামুনুল-হাসনাত-সারজিস

banglarmukh official