বরিশাল সহ সারাদেশে ভর্তি বিরম্বনায় ভুগছে ১৬-১৭ মাষ্টার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। প্রতিনিয়ত তারিখ পরিবর্তন ও ওয়েব সাইট দূর্বল থাকার কারনে হতাশায় ভূগছে তারা। সম্প্রতি ডিগ্রি পার্স কোর্সের রেজাল্ট দিলে মাষ্টার্সে ভর্তি আবেদন পূরন করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ভর্তি আবেদন করতেই তাদের হিমশিম খেতে হয়েছে।
কেননা জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট সমস্যার থাকার কারনে অনেকে আবেদন প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাছাড়া যারা আবেদন করতে পেরেছে তাদের আবার অনেকেই ভর্তি যুদ্ধে উত্তির্ন হতে পারেনি। কেননা কোটা কম থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে জানিয়েছে অনেক শিক্ষার্থী। বরিশালে এর চিত্র কোন অংশে কম নয় । বরিশালে নাম মাত্র কয়েকটি কলেজে রয়েছে মাষ্টার্সে পড়ার সুযোগ। তার মধ্যে রয়েছে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ ( বিএম), সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, সরকারি বরিশাল কলেজ , সরকারি মহিলা কলেজ এবং চাখার শেরেই বাংলা কলেজ।
আর এসব কলেজে ছাত্রদের ভর্তি যুদ্ধে অনেকেই স্থান প্রাপ্তি থেকে পিছিয়ে রয়েছে। দেখা গেছে মেধাবী ছাত্ররাও অনেক ক্ষেত্রে বাদ পড়ছে। তার উপরে ওয়েব সাইটে সমস্যার কারনে অনেক শিক্ষার্থী প্রথম পর্যায়ে আবেদন করতে পারেনি। কিন্তু যারা প্রথম পর্যায়ে উত্তীর্ন হয়েছে তাদের ক্লাস ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। যা কিছুটা বৈষম্য তৈরি করে চান্স না পাওয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে। তার উপরে বার বার তারিখ পরিবর্তনের ঝামেলা। বিএম কলেজে মাষ্টার্সে ভর্তি ইচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, ডিগ্রি পাস কোর্সের রেজাল্ট দেওয়ার পরে ভর্তি জন্য কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে আবেদন পত্র পূরন করি। প্রায় ১৫ দিন পর সেই রেজাল্ট দেয়া হয়। কিন্তু প্রথম পর্যায়ে উত্তির্ন হতে পারিনি। পরে রিলিজ সিলিপের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি।
সেখানে রিলিজ সিলিপের জন্য ৬ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত রিলিজ সিলিপের আবেদন সময় নির্ধারন করা হলেও আবার পরিবর্তন করা হয়েছে সে সময়। এতে রিতিমত আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। কেননা ভর্তি প্রায় দু-মাস হয়ে গেছে আর আমরা অনেক শিক্ষার্থী এখন আবেদন পূরন করতে পারিনি। তার উপরে এখন আবার রিলিজ সিলিপের আবেদন পক্রিয়া ২১ সেপ্টেম্বও থেকে ২৯ সেপ্টেম্বও করা হয়েছে। যা আরো ১০ দিন পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। তার উপরে ওয়েব সাইট যে পরিমান সমস্যা থাকে তাতে মনে হচ্ছে এ বছর ভর্তি হতে পারবে না অনেক শিক্ষার্থী। এ ব্যপারে কম্পিউটার দোকানের অপারেটর অমল জানান, অনেক দিন ধরেই মাষ্টার্সে ভর্তি আবেদন পূরন করছি। অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও বেশি ভাগ শিক্ষার্থী আবেদন পূরন করতে পারেনি। পরবর্তীতে পুনরায় আবেদনে জন্য বিজ্ঞপ্তী প্রকাশ হলেও সারবার বা ওয়েব সাইট সমস্যার কারনে এখনও অনেক শিক্ষার্থী আবদেন করতে পারেনি। তাছাড়া সেসব শিক্ষার্থী রিলিজ সিলিপের জন্য অপেক্ষা করেছিল তাদরে জন্য প্রায় দীর্ঘ ২ মাস পরে আবেদন পক্রিয়া চলমান করে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ২দিন ওয়েব সাইট খোলা রেখে আবার ২১ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন পক্রিয়া বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। এতে অনেক শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে না বলে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে বলে তিনি জানান।
এদিকে শিক্ষার্থী মিতু আক্তার জানান, প্রায় আড়াই মাস হলো মাষ্টার্সে আবেদন করেছি এখন পর্যন্ত ভর্তি হতে পারিনি। আদো ভর্তি হতে পারবো কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এদিকে ২য় পর্যায়ে রিলিজ সিলিপের জন্য আবেদন পক্রিয়া সচল করলেও আবারও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে পক্রিয়াটি। এখন রিতিমত আমরা ভোগান্তি শিকার হচ্ছি। জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের এহেন কর্মকান্ডে আমরা অনেক শিক্ষার্থী পড়াশুনা কিংবা ক্যারিয়ার গঠনে পিছিয়ে পড়ছি। তবে এ ব্যপারে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অধীনে কর্মরত এক কর্মকর্তা জানান, আমাদের একটাই ওয়েব সাইট।
যেটার মাধ্যমে অনার্স, ডিগ্রি, মাষ্টার্স, এলএলবি সহ নানা পর্যায়ে ভর্তি কার্যক্রম চালানো হয়। ফলে ওয়েব সাইটি দীর্ঘ সময় দূর্বল থাকে। তাই বর্তমানে অনার্সে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আপাতত মাষ্টার্স ২য় পর্যায়ে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বরের পর সাইটটি পুনরায় মাষ্টার্সে ভর্তির রিলিজ সিলিপের জন্য খুলে দেয়া হবে। তবে এতে শিক্ষার্থীদের হতাশ না হওয়ার জন্য তিনি আহব্বান জানান।