27 C
Dhaka
জুলাই ৫, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জেলার সংবাদ রাজণীতি

“শেখ হাসিনার হু’ঙ্কারে আত’ঙ্কিত আ’লীগের অপ’রাধীরা”

শনিবারের পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে অজানা আ’তঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বিরোধী দলে থাকার সময় আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মী রাজপথে লড়া’কু ছিলেন, ২০০৬ সালে যারা জামাত-বিএনপির বি’রুদ্ধে আ’ন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যারা হর’তাল-অ’বরোধে রাস্তায় থাকতেন, ২০১৩-১৪ সালে বিএনপি-জামাতের আ’ন্দোলনের জবাব দেওয়ার জন্য যারা রাজপথে নেমেছিলেন, যারা হেফাজতের আ’ন্দোলনের সময় দলীয় কার্যালয় পাহা’রা দিয়েছিলেন- তারাই এখন আ’তঙ্কে। আওয়ামী লীগের রাজপথের এরকম অনেক চেনামুখের অনেককেই এখন পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই এখন গা-ঢা’কা দিয়েছে, কেউ কেউ বিদেশে চলে গেছেন, অনেককে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের মধ্যে এক ধরনের আত’ঙ্ক বিরাজ করছে।

*এই আত’ঙ্কের সূত্রপাত হয়েছে গত শনিবারের আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের পর থেকে। এই কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুর্নির্দিষ্ট কিছু নি’র্দেশনা দিয়েছেন। এই নি’র্দেশনাগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যারা স’ন্ত্রাস এবং চাঁ’দাবাজির সঙ্গে জ’ড়িত তাদেরকে কোনো আশ্র’য়-প্র’শ্রয় না দেওয়া, যারা ক্যাডার রাজনীতি করে তাদেরকে চি’হ্নিত করে দল থেকে বের করে দেওয়া, অস্ত্র’বাজী-স’ন্ত্রাস-টেন্ডা’রবাজীকে প্রশ্র’য় না দেওয়া। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সি’দ্ধান্ত সারাদেশের মানুষকে উৎ’সাহিত করেছে, আ’শান্বিত করেছে, সব শ্রেণীপেশার মানুষই এই সিদ্ধা’ন্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের অনেকেই মনে করছে এর মাধ্যমে বিরাজনীতিকরণের একটি প্রক্রিয়া শুরু হলো। এর ফলে প্রশাসনের দাপ’ট অনেক বে’ড়ে যাবে, দলীয় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন রকম হয়রা’নির শি’কার হবেন।

*নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, ২০১৮ এর ৩০ ডিসেম্বরের পর থেকে প্রশাসনের খবর’দারি অনেক বেশি হয়ে গেছে। অনেক প্রশাসনের কর্মকর্তারা রাজনৈতিক নেতাদের মতো বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন। এখন প্রশাসনের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের একটি প্রকাশ্য যু’দ্ধ দেখা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে অভি’যোগগুলো এসেছে, সেগুলোর বেশিরভাগই এসেছে আইনশৃঙ্খলা দায়ি’ত্বে নিয়োজিত প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এই সমস্ত প্রতিবেদনগুলোতে সব তথ্যই যেমন মি’থ্যা নয়, আবার কিছু কিছু অতির’ঞ্জিত তথ্যও রয়েছে বলেও অনেকে মনে করছেন। ফলে এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে শু’দ্ধি অ’ভিযান পরিচালনা করা হয়, তাহলে সেটা আওয়ামী লীগের জন্য বু’মেরাং হয়ে যেতে পারে বলে অনেকে আশ’ঙ্কা করছেন।

*আওয়ামী লীগের অন্য একজন নেতা বলছেন, এর ফলে সংগঠন দু’র্বল হয়ে যাবে। কারণ ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর দীর্ঘ আ’ন্দোলন সংগ্রামের সময় রাজপথে আ’ন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে অনেককেই অনেকরকম পন্থা অব’লম্বন করতে হয়েছে। একটা সময়ে এমন ছিল যে রাজপথে আ’ন্দোলন না করলে তাকে নেতা হিসেবে স্বী’কৃতি দেওয়া হতো না। রাজপথে আন্দো’লন করার কারণে যাদেরকে আগে ক্যা’ডার বলা হয়েছে তাদের বি’পুল সংখ্যক অনুগত বাহিনী তৈরি হতো, মি’ছিল-মি’টিংসহ বিভিন্ন কাজের জন্য তাদেরকে ব্যব’হার করা হতো।

*এখন তারা প্রশ্ন করছেন যে, দলের স্বা’র্থেই তো এই কাজগুলো করতে হয়েছে। তখন যদি আমাদেরকে বীর বলা হয়, তাহলে এখন কেন আমরা ক্যা’ডার হবো? এইসব বি’তর্কের দোলা’চলে আওয়ামী লীগের মধ্যস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে অস্ব’স্তি এবং আ’তঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই মনে করছেন যে, একটা ঢা’লাও ক্রা’শ প্রোগ্রামের মাধ্যমে হয়ত ক্যা’ডার হিসেবে পরিচিত জনপ্রিয় অনেক নেতার বিরু’দ্ধে ব্য’বস্থা নেওয়া হতে পারে, অনেককে দল থেকে বহি’ষ্কারও করা হতে পারে। এটা আওয়ামী লীগের জন্য কতোটা মঙ্গলজনক হবে, সেটাও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ

*সামগ্রিক বিবেচনায় আওয়ামী লীগ হঠাৎ করেই বিরোধী দলের অ’বস্থানে চলে গেছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গত ১০ বছর যে শান্তিতে, বীর’দর্পে চলা’ফেরা করতেন- তা গত ৩-৪ দিনে হাওয়ায় মি’লিয়ে গেছে। বরং তাদের বি’রুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন অভি’যোগ, তাদের টিকিটিও পাওয়া যাচ্ছে না। এখন প্রশ্ন হলো যে, আওয়ামী লীগ কি তবে বি’রোধী দলে? আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, শেখ হাসিনা যেই সি’দ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা দৃষ্টা’ন্তমূলক, প্র’শংসনীয় এবং সাহসী। ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে পরি’বর্তন হয়েছে, তার ধারায় সংগঠন করতে গেলে যে ক্যা’ডার বা রাজপথে লড়া’কুদের যে প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করা হয়েছিল, সেখান থেকে সরে এলে কি সংগঠন থাকবে?

*সংগঠন থাকুক না থাকুক, আওয়ামী লীগ সভাপতি একটি বিষয়ে স্প’ষ্ট বার্তা দিয়েছেন, তা হলো দু’ষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। আর যাই হোক, তিনি সন্ত্রা’সী এবং চাঁ’দাবাজদের প্র’শ্রয় দেবেন না। আর এর ফলেই হঠাৎ আওয়ামী লীগের মধ্যস্তরের নেতাকর্মীদের আচ’রণ দেখে মনে হচ্ছে রাতা’রাতি যেন তারা বি’রোধী দলে চলে গেছেন। বিরো’ধী দলে থাকলে যেমন গা ঢাকা দিয়ে আত্ম’গোপনে বা বিদেশে পা’লিয়ে থাকতে হতো- সেরকম একটি পরি’স্থিতি তৈরি হয়েছে এই নেতাকর্মীদের মধ্যে। ফলে এই এক ঘোষ’ণাতেই বিরো’ধী দলের অব’স্থায় চলে গেছে আওয়ামী লীগ।

সম্পর্কিত পোস্ট

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মাগুরায় মামুনুল-হাসনাত-সারজিস

banglarmukh official

সোলাইমান সেলিম-জ্যোতি তিনদিনের রিমান্ডে

banglarmukh official

চাচা ডেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনামুরকে বিয়ে করেন ফরিদা

banglarmukh official

অটোরিকশায় ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ, ভিডিও ভাইরাল

banglarmukh official