খবর বিজ্ঞপ্তি :
গত ২ অক্টোবর মঙ্গলবার চরকাউয়া ইউনিয়নে কীর্তনখোলা নদী ভাঙ্গন রোধে বরিশাল পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন পরিষদের এক গুরুত্বপূর্ণ সভা বিকাল ৫টায় চরকাউয়া আহম্মদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় জননেতা কেরামত আলী হাওলাদার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা পরিষদের অন্যতম সদস্য ও উন্নয়ন পরিষদের আহবায়ক মুনাওয়ারুল ইসলাম অলি।
দীর্ঘ ৩০ বছর কীর্তনখোলা নদীর ভাঙ্গণে চরকাউয়ার চরবদনা ও সাতানি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। গত ৩ বছর যাবত লাগাতার ভাঙ্গনে ৩টি মৌজা সহ নয়ানী গ্রামটিও বিলীনের পথে। স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ, বাসস্ট্যান্ড প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান আজ হুমকির মুখে। ইতোমধ্যে হাজার হাজার ঘরবাড়ি সহ কয়েক হাজার ফসলী জমি, খেলার মাঠ, ইট ভাটা, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বরিশাল সদরের নেতৃবৃন্দ শান্তনা দেয়া ছাড়া কোন কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করেন নাই।
প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের চোখের পানি মোছার জন্য টিস্যু পেপার চাই না। আমাদের কান্না বন্ধ করুন। যারা এলাকায় গাছ লাগিয়েছেন, টিন দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে সাধুবাদ জানাই কিন্তুভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানাচ্ছি। নদী ভাঙ্গন রোধে আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে মুনাওয়ারুল ইসলাম অলিকে আহবায়ক ও মুজিবর রহমান হাবিব মুন্সিকে সদস্য সচিব করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট ‘চরকাউয়া নদী ভাঙ্গন রোধে সংগ্রাম কমিটি’ নামে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয় এবং ১। অনতিবিলম্বে জরুরী অবস্থা ঘোষণাকৃত কাজ সমাপ্ত করা (২) স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা (৩) চরবদনা মৌজা তথা রসুলপুরের পূর্ব তীরে জেগে ওঠা ডুবো চর ড্রেজিং করা ও (৪) বাস্তুভিটা হারা পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করার দাবীতে আগামী ২/১ দিনের মধ্যে কর্মসূচী ঘোষণা হবে বলে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদস্য সচিব মোঃ মানিক মৃধা, জাকির হোসেন তালুকদার, আলতাফ হোসেন মাস্টার, মৌলভী মোঃ নুরুল ইসলাম হাওলাদার, শফিকুল ইসলাম, সোবাহান তালুকদার, বাদল চাপরাশী প্রমুখ।