34 C
Dhaka
জুলাই ১২, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
প্রচ্ছদ রাজণীতি

‘মুজিব বর্ষের‘ মধ্যেই বাংলাদেশ হবে ক্ষুদা ও দারিদ্র মুক্ত দেশ: প্রধানমন্ত্রী

২০২০-২১ সাল ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেব ঘোষনা করা হয়েছে। এই মুজিব বর্ষের মধ্যেই বাংলাদেশ হবে ক্ষুদা ও দারিদ্র মুক্ত দেশ।

আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালীর পায়রায় নির্মাণাধীন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ নামে পুনর্বাসন পল্লী উদ্বোধনসহ বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর ও ফলক উম্মোচনকালে সুধী সমাবেশে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতার জন্মশত বাষির্কী ২০২০ সালের ১৭ মার্চ আর ২০২১ সারের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী তাই এই ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্তকে আমার মুজিব বর্ষ ঘোষনা করেছি। তাই মুজিব বর্ষের মধ্যে আমাদের বাংলাদেশ হবে ক্ষুদা ও দরিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কোন মানুষের কোন কষ্ট থাকবে না। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে এদেশের সন্তানরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণাঞ্চল ছিলো সব সময়ই অবহেলিত। কিন্তু ৯৬’ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ অঞ্চলের উন্নয়ন কাজ শুরু করি। এরপর টানা দুই বার প্রায় ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে এ অঞ্চলের ভাগ্য উন্নয়নের কাজ করি।

বিশেষ করে যোগযোগ ব্যবস্থাকে উন্নতি করি। বরিশালের দোয়ারিকা-শিকারপুর থেকে শুরু করে গাফ খান হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত প্রতিটি নদীর উপর দিয়ে ব্রিজ নির্মাণকাজ একমাত্র আমরাই করেছি। নদী পথের ড্রেইজিং ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এ অঞ্চলের শুধু ঘরে ঘরেই নয়, ব্যবসা ও শিল্প কারখানায় বিদ্যুৎ পৌছে দিতে বর্তমান সরকার কাজ কারছে। তাই পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি এটিকে আরো ৩০ হাজার মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ উৎপদনে উন্নতি করার প্রক্রিয়া রয়েছে। সাথে দক্ষিণাঞ্চলের যে কোন একটি দ্বীপে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ সরকার হাতে নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উন্নয়ন কিংবা শিল্প কারখানা স্থাপনের ফলে যাতে কারো ক্ষতি না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখছে সরকার। যারা এই সকল শিল্পকারখানা তৈরিতে জমি দিচ্ছেন তাদের কাছ থেকে জমি তিনগুন মূল্যে ক্রয় করা হচ্ছে। আবার তারা যেন গৃহহীন হয়ে না পরে তার জন্য ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ ন্যায় পূণর্বাসন পল্লী নির্মাণ করে দিয়েছি এবং দিচ্ছে বর্তমান সরকার।

তিনি বলেন, পায়রায় বন্দর কিংবা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রই নয়, এখানে হবে নৌ ঘাটি। হয়েছে সেনা নিবাস আর পদ্মার এপারে হবে বিমান ঘাটি। আমাগীতে আমারা ক্ষমাতায় আসলে এমন উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।

সুধী সমাবেশে সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ, শিল্পমন্ত্রী আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, তালুকদার মোঃ ইউনুস, জেবুন্নেছা আফরোজসহ সহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা।

সুধী সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ নামে পুনর্বাসন পল্লী উদ্বোধনসহ ২১ প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর ও ফলক উম্মোচন করেন।

এছাড়া বিকেলে তিনি বরগুনার তালতলী উপজেলায় আয়োজিত জনসভায় যোগদানসহ বরগুনায় আরো ২১টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর ও ফলক উম্মোচন করবেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায়

banglarmukh official

বরিশালে দুর্ঘটনায় নিহত ২

banglarmukh official

সোলাইমান সেলিম-জ্যোতি তিনদিনের রিমান্ডে

banglarmukh official