বরিশাল ব্যুরো//
বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় মাদক ঘিরে ধরেছে যুব সমাজকে। তামাক বা সিগারেটই মাদক প্রহনের ১ম স্তর। প্রথমে বন্ধুদের সাথে একটা দুইটি সিগারেট। পরে তাদেরই পাল্লায় পরে মাদকের অন্য অন্য শাখায় প্রবেশ।
বরিশালের সর্বত্ব মাদকের হাতছানি। তার মধ্যে অলিতে গলিতে সিগারেট ও তামাকের দোকান। এমনকি প্রায় প্রতিটি স্কুল কলেজের সামনেও চলছে এর ক্রয় বিক্রয়। নেই কোন আইনের বালাই। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে নগরীর স্কুল ও কলেজের সামনে যেন সিগারেট বিক্রি না হয় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্মারকলিপি দিয়েছে, তরুনদের সংগঠন দি অডেশাস্।
বুধবার বরিশাল জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুর রহমানের কাছে তারা এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় গত ২৭ মে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার এবং বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, স্কুলের আশপাশের দোকানে সিগারেটসহ তামাক ও তামাকজাত পণ্য বিক্রি বন্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে।
আগামীতে পাঠ্যপুস্তকে আলাদাভাবে তামাকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরা হবে। এছাড়া ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রন আইন এর ৬ এর ক ধারায় বলা আছে, “অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের নিচে) কোন ব্যক্তির নিকট তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করবেন না, অথবা ওই ব্যক্তিকে তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য বিপণন বা বিতরন কাজে নিয়োজিত করবেন না বা করাবেন না।
এ বিধান লংঘন করলে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হবে এবং ওই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার বা পুনঃ একই ধরনের অপরাধ সংঘটন করিলে, পর্যায়ক্রমে উক্ত দন্ডের দ্বিগুণ হারে দন্ডনীয় হবে। দি অডেশাস্ এর সভাপতি সাইদুর রহমান পান্থ এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন,সংগঠনের সহ সভাপতি মোঃ রুম্মান, দুর্জয় সিংহ জয়, অনিরুদ্ধ খাসকেল হিমাদ্রী, সানজিদা বৃষ্টি, আসাদুজ্জামান মিরাজ, জুয়েল ইসলাম ধ্রুব, শুভ সিকদার, নীলা বাড়ৈ ও কামরুজ্জামান জুয়েল।