ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলার দুই লাখ ২৭ হাজার ৯৪৩টি জেলে পরিবারকে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ২০ কেজি করে চাল দেবে সরকার।
সম্প্রতি এ বরাদ্দের অনুমোদন দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এখন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে চাল বরাদ্দ দিয়ে আদেশ জারি করবেন। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস জানান, ওই চিঠিতে বলা হয়েছে-বরাদ্দ এ ভিজিএফ চাল মা ইলিশ আহরণে বিরত থাকার জন্য জেলা প্রশাসক স্থানীয়, দুঃস্থ ও প্রকৃত মৎস্যজীবীদের মধ্যে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা অনুসরণ করে যথানিয়মে বন্টন করবেন এবং হিসাব সংরক্ষণ করবেন। জেলা প্রশাসককে এ বরাদ্দের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যকে অবহিত করতে হবে।
সূত্রমতে, ইলিশ রক্ষায় প্রধান প্রজনন মৌসুম ধরে আগামী ৭ থেকে ২৮ অক্টোবরে পর্যন্ত ২২দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় ইলিশ আহরণে বিরত থাকার সময় সরকারীভাবে বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার ৮৮ হাজার ১১১ জন, পটুয়াখালীর ৪৫ হাজার ৬৪২ জন, বরিশালের ৪৩ হাজার ৬৪৪ জন, বরগুনার ৩৪ হাজার ২১১ জন, পিরোজপুরের ১৪ হাজার ৮৭৫ জন ও ঝালকাঠি জেলার এক হাজার ৪৬০ জন জেলেকে চাল দেয়া হবে।
একইসাথে ইলিশ আহরণে বিরত থাকার জন্য দেশের ২৯টি জেলার ১১২টি উপজেলায় জেলেদের এ সহায়তার জন্য সাত হাজার ৯১৪ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে চাঁদপুরের ৩৬ হাজার ৫৭৫ জন, লহ্মীপুরের ৩৭ হাজার ৩২৬ জন, ফেনীর ৫০০ জন, নোয়াখালীর আট হাজার ৫২৪ জন, কক্সবাজারের ১০ হাজার ৫০০, চট্টগ্রামের ১৭ হাজার ৫০০, শরীয়তপুরের ১৬ হাজার ৩৫৫ জন, জামালপুরের পাঁচ হাজার, নরসিংদীর ৫০০ জন, মানিকগঞ্জের সাত হাজার ৭৭৯ জন, মাদারীপুরের এক হাজার ৫০০, ঢাকার ৮৫০, সিরাজগঞ্জের এক হাজার ৫০০, রাজশাহীর এক হাজার ৮০০, নাটোরের ৫০০, পাবনার এক হাজার ২৫০, বাগেরহাটের পাঁচ হাজার ১৯৪, খুলনার দুই হাজার ১০০, কুষ্টিয়ার এক হাজার ২৬৬, কিশোরগঞ্জের ৬৯৯, রাজবাড়ীর চার হাজার ৬৪০, ফরিদপুরের দুই হাজার ২৩৭ ও মুন্সিগঞ্জের তিন হাজার ৬৭১ জন জেলে পরিবার ২০ কেজি করে চাল সহায়তা পাবেন।