কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পটুয়াখালীর জলসীমায় ইলিশ শিকারে যাওয়ার অভিযোগে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ৮ পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুই দিনে পর্যায়ক্রমে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আকরাম হোসেন। তিনি জানান, এখনি সবিস্তারে কিছু বলা যাচ্ছে না। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে পুরো বিষয়টি জানানো যাবে।শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত এবং পাঁচজনকে ক্লোজড করা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্তকৃত হলেন উপ-পরিদর্শক আনিস, কনস্টেবল মোহম্মদ আলী ও জুলফিকার আলী। ক্লোজড হয়েছেন, এএসআই তরিকুল ইসলাম, এফরান, সোহেল, কনস্টেবল জাকির ও ইব্রাহিম।
এরা সকলেই বন্দর থানায় কর্মরত ছিলো।
জানা গেছে, রোববার (২০ অক্টোবর) পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় তেতুলীয়া নদীর ধুলিয়া পয়েন্টে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর (সাহেবেরহাট) থানার কনস্টেবল জুলফিকার আলী ও মোহাম্মদ আলীকে আটক করে স্থানীয় প্রশাসন। ওই অভিযানে আরো ৪ জেলেকে আটক করা হয় এবং জব্দ করা হয় মা ইলিশ।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ সাংবাদিকদের জানান, রোববার বিকেলে বাউফল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য কর্মকতার্ এবং নৌ পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি দল অভিযানে নামে। তেতুলিয়া নদীর ধূলিয়া পয়েন্টে ইলিশ ধরারত একটি ট্রলার আটক করে। ওই ট্রলার থেকে বরিশাল বন্দর থানার মো. জুলফিকার ও মোহাম্মদ আলী নামের দুই পুলিশ সদস্য ও ৪ জেলেকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় দুটি স্পীড বোটসহ অন্যরা পালিয়ে যায়।
পালিয়ে যাওয়া বাকিদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।