স্টাফ রিপোর্টার//রাতুল হোসেন রায়হান:
সরকারি নানা উদ্যোগেও কমছে না পেঁয়াজের দাম। বরিশালে পেঁয়াজের ঝাঁজে অস্থির হয়ে উঠেছে জনজীবন। বাজার মূল্য ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় পেয়াজ বিক্রি হলেও এক দিনের ব্যবধানে তা বরিশালে বিক্রি হচ্ছে ১শ ১০ থেকে ১শ ২০টাকায়।
তবে এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের বাজারে তেমন নজরদারি দেখা গেলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে নিজেরা লাভবান হচ্ছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। অবস্থা এমন যে, বাজার থেকে শুরু করে অফিস-আদালত সব জায়গায় এখন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘পেঁয়াজ’।
সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বরিশালের পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে কোন ভূমিকা না রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারন ভোক্তারা।
সম্প্রতি ভারত থেকে পেয়াজ রপ্তানির বন্ধের বিষয় জানতে পেরে কিছু অসাধু আড়ৎদার ব্যবসায়ী তড়িগড়ি করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয় ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দফায় দফায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। ভারত রপ্তানি বন্ধ করায় ও অব্যাহত বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের বাজারে আগুন লেগেছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
তাছাড়া তাদের কাছে মজুদ থাকা পেঁয়াজও বিক্রি হয়েছে চড়া দামে এমনটি জানিয়েছে ক্রেতারা। পাইকারী আড়তে পেয়াজের দাম বাড়ানোর ফলে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পরেছে। এতে করে খুচরা বিক্রেতারাও তাদের কাছে মজুদ থাকা পেয়াজ ১শ ১০ থেকে ১শ ২০টাকা দরে বিক্রি করছে।
হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিন্ম আয়ের মানুষসহ ক্রেতারা পড়েছে বিপাকে। দাম বাড়ায় অনেক ক্রেতা আবার শুধু দর করে পেঁয়াজ না নিয়েই ঘরে ফিরছেন। কেউ বা আবার প্রয়োজন তাই বেশি দামেও কম করে নিচ্ছে।
নতুন বাজার এলাকার গৃহিণী ঝর্ণা বেগম, কাউনিয়ার শিল্পি বেগম জানান, তারা প্রতিদিনই সংসারের বাজার সদাই করে থাকেন। কিন্তু পেঁয়াজ কিনতে এসে তারা চোখে অন্ধকার দেখছেন। ফলে চাহিদার অর্ধেক পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা জানান, মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। একাধিক হাত বদল হয়ে তা সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, বিষটি অবগত হয়েছি। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম বাজার মনিটরিং এ কাজ করছে।