“রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ”- এই স্লোগানটি বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে। কারাগার কর্তৃপক্ষও দাবি করেছেন, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রতিটি বন্দীকে রাখা হয় নিবিড় পর্যবেক্ষণে। কঠোর অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে দেখানো হয় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার পথ। তবে বাস্তবতার চিত্র ভিন্ন। কারাগারের বন্দী ও স্বজনদের প্রতিনিয়তই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এখানে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পুরো কারাগারজুড়েই চলছে টাকার খেলা আর জমজমাট মাদক ব্যবসা। যার যত টাকা ও প্রভাবশালী, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতরে তার ততো দাপট। টাকাওয়ালারা ঘরের ন্যায় জেলখানাতেও বসবাস করেন আরাম-আয়েশে। আর যাদের টাকা নেই তাদের কারা কর্তৃপক্ষের নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তবে কারাগারের বাইরে এসব ঘটনা সহসা প্রকাশ করেন না কেউ। কারণ বেশিরভাগ হাজতিই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, মাদক সংশ্লিষ্ট অথবা অপরাধী হওয়ায় তাদের বারবার যেতে হয় কারাগারে।
একজন হাজতি কারা গেট থেকে প্রবেশের পর থেকেই শুরু হয় কারা কর্তৃপক্ষের অর্থ আদায়ের সূচনা। এরপর জামিনে বের হওয়া পর্যন্ত হাজতিদের নিয়ে চলে তাদের অর্থ বাণিজ্য। যার ফলে কারা কর্তৃপক্ষ সব সময়ই সংবাদকর্মীদের এড়িয়ে চলেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাজতিদের কারাগারে প্রবেশের আগে তাদের নাম, বাবার নাম ও ঠিকানা একটি খাতায় লিপিবদ্ধ করেন কারা কর্তৃপক্ষ। ওই খাতার নাম হলো ‘পিসি বই’। হাজতি মুখে তার পরিচয় সঠিক বললেও লেখার সময় ইচ্ছে করেই পিসি বইতে ভুল লেখা হয়। এক জন হাজতির নাম যদি হয় ‘মিজানুর রহমান’ কারা কর্তৃপক্ষ তার নাম লিখবে ‘মিজানুর বহমান’। আদালত থেকে তার জামিন মঞ্জুর হলেও ‘র’ ও ‘ব’ এর বেড়াজালে আটকে দেয়া হয় ওই হাজতিকে। গেটের দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীকে ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা দিলেই ‘ব’ আবার ‘র’ হয়ে যায়। কিন্তু কেউ টাকা দিতে না পারলে জামিন আদেশের পরেও তাকে ১ দিন অতিরিক্ত জেল হাজতে থাকতে হয়। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এসব কথা জানিয়েছেন হয়রানির শিকার এক হাজতি।
অন্য এক হাজতি জানান, আমদানিতে ১ দিন রাখার পরে হাজতিদের অপরাধ অনুযায়ী বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানেও টাকা। অনেক অপরাধী এক জায়গায় বসবাস করায় প্রায়ই হাজতিতের মধ্যে মারামারি বাধে। মারামারি করার অপরাধে তাদেরকে কেস টেবিলে (কারাগারের বিশেষ বিচার ব্যবস্থা) হাজির করা হয়। তবে কারাগারের সুবেদার, জমাদার ও সিআইডিদের টাকা দিলে পার পেয়ে যায় প্রকৃত অপরাধী। এর প্রেক্ষিতে উল্টো শাস্তি পেতে হয় নিরাপরাধীকে। যার ফলে কারাগারে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরাধ। একটু ভালোভাবে গোসল করার জন্যও টাকা গুণতে হয় বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দীদের। প্রতিবার গোসল করার জন্য যারা ৫০ থেকে ৬০ টাকা দিতে পারছেন শুধুমাত্র তারাই পাম্পে বা বিভিন্ন সেলের সামনে গোসল করার সুযোগ পান।
কারাগারের অভ্যন্তরে নগদ টাকা বহন করা বড় ধরনের অপরাধ। তাই বাইরে থেকে কেউ টাকা দিতে চাইলে ব্যাংক হিসেবের ন্যায় পিসি বইতে টাকা জমা হয়। কারো টাকার প্রয়োজন হলে পিসি বইয়ের মাধ্যমে ক্যান্টিন থেকে লেনদেন করেন। আর এখানেই হলো আসল দুর্নীতি। কেউ ১০০ টাকা চাইলে তাকে দেয়া হয় ৯০ টাকা। বাকি ১০ টাকা কমিশন বাবদ কেটে রাখা হয়। যদিও টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে জেলার বলেছেন, এ ১০ টাকা পিসি বই তৈরি করার জন্য নেয়া হয়। এমন নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার পিসি বই তৈরি করার জন্য কোনো টাকা বরাদ্দ না দেয়ায় তারা এই টাকাটা নিয়ে থাকেন।
বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা স্বজনরা সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হন দেখার ঘরে। তবে টাকা থাকলে সেখানেও রয়েছে স্বস্তি। হাজতি বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসা আব্দুর রহমান জানান, ‘‘আমার ভাইয়ের সাথে দেখা করতে গেলে সেখানে সিরিয়ালের অজুহাতে প্রায় ৩ ঘণ্টা বসে থেকেও দেখা করতে পারিনি। যখন এক কারা সদস্যকে ৩শ’ টাকা দিলাম সে সাথে সাথেই দেখা করিয়ে দিল।” তিনি বলেন, এমন দৃশ্য যে কেউ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকলেই প্রতিনিয়ত দেখতে পারবে। অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, এ টাকাটা সংগ্রহ করেন কারারক্ষী উজ্জ্বল। গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, স্পেসালভাবে কারাগারে থাকা স্বজনের সাথে দেখা করার জন্য কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে গেলেই কারারক্ষী উজ্জ্বল ৫শ’ টাকা হাতেনাতে নিয়ে ভিতরে ঢুকিয়ে দেন দেখা করার জন্য।
কারাগারের সবচেয়ে বেশি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে মেডিকেলে। জানা গেছে, কারাবিধি অনুযায়ী যে রোগী আগে যাবেন তিনি মেডিকেলে সিট পাবেন। কিন্তু সেখানে চলে এর উল্টো। টাকার বিনিময়ে সুস্থদের সিট পাইয়ে দেয়া হয়। আর প্রকৃত অসুস্থরা থাকেন মেঝেতে। তবে কারা পরিদর্শকদল পরিদর্শনে গেলে অসুস্থদের বেডে রাখা হয়। কিন্তু তারা চলে গেলে পূর্বের নিয়ম চালু হয়। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, মেডিকেলে ১৫ দিন থাকার জন্য ১৫শ’ টাকা এবং এক মাস থাকার জন্য ২৫শ’ টাকা দিতে হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক হাজতি জানিয়েছেন, যে কেউ দিব্যি সুস্থ হয়েও অসুস্থতার সার্টিফিকেট নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। সেখানে বসে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা, খাওয়া-দাওয়া এবং মোবাইলে কথা বলার অপার সুযোগ থাকে। কারা চিকিৎসকের সঙ্গে আঁতাত করে সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করে দেয় দালালরা। এই সার্টিফিকেটের জন্য প্রতিজন বন্দীকে দিতে হয় ১ থেকে ২ হাজার টাকা। এ বিষয়ে জেলারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসকল বিষয়ে কারা মেডিকেলের দায়িত্বরত ডাক্তার বলতে পারবেন। পরে কারা মেডিকেলের দায়িত্বরত ডাক্তার খুরশিদ আলমের মুঠোফোনের ০১৭১৭১১২৯.. নাম্বারে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতিমাসে শুধুমাত্র মেডিকেল থেকে আয় হয় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। চিকিৎসক নিজেও এর একটি অংশ পান। কারা মেডিকেলে দায়িত্ব পালন করছেন ডাক্তার খুরশিদ আলম।
কারাগারের অভ্যন্তরে ফেন্সিডিল বা ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি হচ্ছে খোলাবাজারের মত অবাধেই। কারাগারে বিক্রি হওয়া মাদকের বাইরেও রয়েছে ঘুমের ট্যাবলেটের ব্যবস্থা। কারাঅভ্যন্তরে কারারক্ষীরা নিজেরাই এসব মাদকদ্রব্য সরবরাহ করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে। তবে কারাগার থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনাও ঘটেছে ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার। বিশেষ করে সিআইডি ও মেডিকেল চিফ রাইটার এই মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। কারণ, সিআইডি সদস্যদের গেটে তল্লাশি করা হয়না। তাই কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই কারাঅভ্যন্তরে মাদক প্রবেশ করান তারা। তবে মাদকের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন জেলার।
কারাগারের অভ্যন্তরে ব্যক্তিগত মোবাইলও অবৈধভাবে ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। কারাগারে এই মোবাইলের সাংকেতিক নাম ‘ময়না পাখি’। মোবাইলের মালিক নিজেও ব্যবহার করেন এবং ভাড়াও দেন। ফলে ভিতরের সকল খবরা-খবর এক নিমেষেই বাহিরে চলে যায়। অভিযোগ রয়েছে, যেসকল সন্ত্রাসী কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে, তারা বাইরের অপরাধ জগতের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে মোবাইলের মাধ্যমে। যার ফলে যে কোনো অপরাধকর্মকা-সহ মাদক ব্যবসা নির্বিঘেœ পরিচালনা করতে সক্ষম হয় তারা কারাগারে বসেই।
জানা গেছে, কারাগারের সব দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে খোঁজ খবর রাখার জন্য ডিআইজি প্রিজনের পক্ষ থেকে একজন সিআইডি সদস্য রয়েছেন বরিশাল কারাগারে। তবে এই সিআইডি সদস্য ডিআইজির কাছে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সব দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা গোপন করে থাকেন। কারণ, কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আঁতাত করে এখান থেকে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা নিয়ে পকেট ভারী করছেন তিনি। যে সব কয়েদী কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে থাকেন তারাই রাজত্ব করেন পুরো কারাগারজুড়ে। আর যারা কারা কর্তৃপক্ষের মন জোগাতে ব্যর্থ হন, তাদের সইতে হয় নির্যাতন। আর তাদের কাজ করতে হয় ফুলের বাগান, সুইপার চালি, তাঁত চালি বা রান্না ঘরে।
একাধিক বন্দী জানান, খাবারের তালিকায় মাছের যে সাইজ উল্লেখ থাকে তা দেয়া হয়না। তালিকায় ইলিশ, রুই, কাতলসহ বিভিন্ন মাছ খাওয়ানোর কথা থাকলেও প্রায় প্রতিদিনই দেয়া হয় পুকুরে চাষ করা পাঙাস মাছ। আর যে মাংস খাওয়ানো হয় তাও পরিমাণে খুব কম। তবে টাকার বিনিময়ে ক্যান্টিন থেকে চড়া মূল্যে মাছ ও মাংস কিনে খেতে পারেন বন্দীরা। তাই যাদের সামর্থ্য আছে তারাই কারাগারে বসে ভালো-মন্দ কিনে খেতে পারেন। সদ্য জেল থেকে বের হওয়া এক হাজতি জানান, জেল খানার খাবারের মান খুবই নিম্নমানের। বন্দীদের সংখ্যা বেশি দেখিয়ে অতিরিক্ত খাবার বরাদ্দ নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। পরে তা বাইরে বিক্রি করে দেয়। কারাগার সূত্রে জানা গেছে, কারাগারের প্রধান গেট থেকেই ভিতরে প্রবেশ করে এই সব নিম্নমানের খাবার। খাবার ভিতরে প্রবেশ করানোর সময় নিম্নমানের অভিযোগ তুলে তা গেটে আটকে দেন গেট ইনচার্জ। এ নিয়ে চলে খাবার সরবরাহকারী ও গেট ইনচার্জের দেনদরবার। ঘণ্টাখানেক পর ওই খাবারই ভালোমানের হিসেবে কারাগারের ভিতরে প্রবেশ করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নামের ভুলসংশোধনী, আমদানি, ওয়ার্ড, গোসল, খাবার, ক্যান্টিন, হাজতিদের টাকার কমিশন, দেখার ঘর, মেডিকেল অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রতিমাসে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা উপার্জন হয় অবৈধভাবে। জেলার, ডেপুটি জেলার থেকে শুরু করে হাসপাতালের চিকিৎসক, সুবেদার, কারারক্ষীরা পর্যন্ত এই টাকার ভাগ পান। বর্তমানে জেল সুপারের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোঃ নুরুজ্জামান। তাই তিনি বেশি খোঁজ খবর না নেয়ায় কারাগারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন জেলার মোঃ ইউনুস। তিনি নিজেই কারাগারের সকল অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত।
উল্লেখ্য, ১৮২৯ সালে ২০.৩ একর জমির ওপর বরিশালে কারাগার নির্মাণ করা হয়। পরে ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এটিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে ঘোষণা করে তৎকালীন সরকার। তবে জেলা কারাগার থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে উন্নীত করা হলেও সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি একাংশও। মাত্র ৬৩৩ জন ধারণ ক্ষমতার বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে বন্দী রয়েছেন ১২৬০ জন। এদের মধ্যে ফাঁসির আসামি ৭২ জন। যার মধ্যে ২ জন নারী। সিনিয়র জেল সুপার, জেলার, ডেপুটি জেলার ও চিকিৎসকসহ বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে মোট ৩৩৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এখানে পুরুষ কারারক্ষীর সংখ্যা ২৫১ জন। এর মধ্যে পদ শূন্য রয়েছে ১১টি। মহিলা কারারক্ষী হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন ১১ জন। এছাড়া এখানে ডেপুটি জেলারের পদ রয়েছে ৪টি। এর মধ্যে ২টিই শূন্য।
কারাগারের ভিতর ও বাহিরের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জেলার মোঃ ইউনুস জামান বলেন, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে যে জনবল রয়েছে তা ৬৩৩ বন্দীর জন্য। কিন্তু কারাগারে প্রায় দ্বিগুণ বন্দী রয়েছেন। তাই এখানকার নিরাপত্তা জোরদার করতে আরো কারারক্ষী প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে জেল সুপারের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোঃ নুরুজ্জামানের ব্যবহৃত নম্বরে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
এমন বাস্তবতায় কারা ডিআইজি (প্রিজন) মোঃ ছগির মিয়ার সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, কারাগারে যদি কোনো দুর্নীতি ঘটে তাহলে সকল অনিয়ম, দুর্নীতির বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।