এবারের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন ১৮৮ জন বিদেশি এবং ২৫ হাজার স্থানীয় পর্যবেক্ষক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য হোটেল সোনারগাঁওয়ে দু’টি মিডিয়া সেন্টার খুলেছে পররাষ্ট্র ও তথ্য মন্ত্রণালয়।
শনিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। তাদের নির্বিঘ্ন চলাচল এবং দায়িত্ব পালনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকও উপস্থিত ছিলেন। তিনি নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের স্বাগত জানান।
জানা যায়, ৯টি বিদেশি সংস্থা ও প্রায় এক ডজন বিদেশি মিশনের ১৮৮ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণে থাকছেন। বিদেশি সংস্থাগুলো হচ্ছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ, ওআইসি, ফোরাম অব ইলেকশন কমিশন ম্যানেজমেন্ট অব সাউথ এশিয়া, ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেকটরাল সিস্টেমস, দীপেন্দ্র কেন্দিল ইনস্টিটিউট এবং সার্ক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন।
বিদেশি মিশনের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্কসহ অন্যান্য মিশন। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া, ভুটান, কানাডা, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, সামোয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, নাইজেরিয়া, ফিলিস্তিন, শ্রীলংকা এবং ফিলিপাইন থেকে পর্যবেক্ষকরা এসেছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য।
বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস, এএফপি, এপি, ডয়েচেভেলে, টাইমস অব ইন্ডিয়া, জিনিউজসহ বিদেশি গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্যে আরও জানা যায়, ১১৮টি স্থানীয় সংস্থার ২৫ হাজার ৯২০ জন পর্যবেক্ষক একাদশ জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য থেকে দেখা যায়, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক ছিলেন ৫৯৩ জন এবং দেশি পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে কার্যত বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসেননি। তখন দেশি পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৮৭৪ জন।